বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ لاهری ] সৰ্ব্বাগ্রে, তিনি যাহা লিখিতেছেন, তাহা চঞ্চল চিত্তে অথবা প্রবীণ বাসপুর মুখের I clever intellectual fool J win sotn wool offবেন না, যাহা বলিবেন, তাহ সজ্ঞানেই [ deliberately ] zwm হইবে, এইরূপ প্রতিজ্ঞাপূর্বক যাহা বলিয়াছেন, তাহার ভাবান্তর এই, “র্তাহার ধৰ্ম্ম কি ? হিন্দুধৰ্ম্ম, কিন্তু ইহা এক আশ্চৰ্য্য প্রকার হিন্দুধৰ্ম্ম । সাধু রামকৃষ্ণ পরমহংস কোন বিশেষ হিন্দু দেবতার উপাসক নহেন । তিনি শৈবও নহেৰ, শাক্তও নহেন, বৈঞ্চবও নহেন এবং বৈদাস্তিকও নহেন । কিন্তু এ সকলই তিনি। তিনি শিবের উপাসনা করেন, কালীর উপাসনা করেন, রামের উপাসনা করেন, কৃষ্ণের উপাসনা করেন এবং বেদান্তমতের দৃঢ় সমর্থনকারী । তিনি এক জন পৌত্তলিকও বটেন এবং অদ্বিতীয় নিরাকার এবং অনন্ত ঈশ্বরের পূর্ণত্বের একান্ত উৎসর্গীকৃত এবং অনুরক্ত ধ্যাত, র্যাহtকে তিনি অখণ্ড সচ্চিদানন্দ বলিয়া অভিহিত করেন । র্তাহার নিকট এই প্রত্যেক দেবতাই সেই সনাতন চিদানন্দ এবং নিরাকার সত্ত্বার সহিত মানবাত্মার মহোচ্চ সম্বন্ধ আবিষ্কারক একটা শক্তি এবং আকারে পরিণত তত্ত্ব। তিনি বলেন যে, এই সকল অবতার, সেই অনন্ত জ্ঞানময় এবং করুণাবিধান অখণ্ড সচ্চিদানন্দের লীল এবং শক্তি, যিনি পরিবর্তন এবং নিরাকরণহীন, যিনি অদ্বিতীয়, অসীম এবং অনস্ত, সৎ চিৎ এবং আনন্দের সমুদ্র। তিনি কখন কখন বলেন যে, রূপাদি র্তাহাকে পরিত্যাগ করিতেছে। র্তাহার মাত! বিদ্যাশক্তি কালী দূরে আছেন, কৃষ্ণকে বাৎসল্য ভাবে গোপালরূপে, অথবা মধুর ভাবে স্বামীরূপে অনুভব করিতে পারিতেছেন না। নিরাকার ব্রহ্ম সমুদয় গ্রাস করিয়া ফেলে এবং তিনি নিৰ্ব্বাক আনন্দ এবং ভক্তিরসে নিমগ্ন হইয়া যান । কিন্তু যতদিন তিনি আমাদের নিকট জীবিত আছেন, আমরা