বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8›ፃ ] দয়া বসিয়া পড়িল এবং তৎদৃষ্টে স্থির নিশ্চয় করিল যে, টাকা কড়ি সমুদায় মিথ্যা কথা । কোন দুষ্টলোক বাশবনের ভিতরে বসিয়া আমার সহিত রহস্ত করিয়াছে। এ স্থানে টাকা আনিতে কাহাকে দেখিলাম না, এখানেও গৃহে প্রবেশ করিবার কোন লক্ষণ নাই । তবে কেমন করিয়া টাকার কথা বিশ্বাস করিব ? নাপিত এইরূপ চিন্তা করিয়া অতিশয় বিষাদিত হইয়া দ্বারোদঘাটন করিল। গৃহমধ্যে প্রবেশ করিয়া দেখে যে, একটা দুইটী নহে, সারি সারি সাতটা ঘড়া বসান রহিয়াছে । আনন্দে নাপিতের বক্ষঃস্থল যেন ফাটিয়া যাইবার মতন হইল। গৃহিণী নাই বলিয়া শত সহস্র বার হায় হায় করিতে লাগিল । ঘড়ার আবরণ খুলিয়া দেখিল যে, একটা ব্যতীত সকলগুলি পরিপূর্ণ আছে। নাপিত ঘড়া গুলি স্পর্শ করিয়া কত কি ভাবিতে লাগিল, তাহ বর্ণনা করে কে ? কখন তাহার মনে হইতে লাগিল যে, হয় ত ইহা টাকা নহে। আমি অনেকক্ষণ টাকা টাকা ভাবিতেছিলাম, তজ্জন্ত হয়ত এই ভ্রম দেখিতেছি । শুনিয়াছি, ভ্রমে মিথ্যাকেও সত্য বলিয়া বোধ হয় । আমার তাহাই হইয়াছে। ইত্যাকার চিন্তাকালে গৃহিণীঠাকুরাণী উপস্থিত হইলেন । গৃহিণীকে দেখিয় নাপিত পুলকে লম্ফ দিয়া উঠিয়া কহিল, "আরে ভাগ্যধর । সতী সাবিত্ৰী ! আজি তোমার অদৃষ্টে আমি রাজ হইয়াছি । আর তুমি নাপ্তিনা নও, আর পাড়ায় মেয়েদের আলতা পরাইতে যাইতে হইবে না । দেখ দেখ সাত ঘড়া টাকা পাইয়াছি।” নাপ্তিনী টাক। দেখিয়া নাপিতকে শত ধন্যবাদ দিয়া বলিল, “আমার মা বাপ যখন তোমার সঙ্গে বিবাহ দেন, তখন কুটুম্বের নিন্দ করিয়াছিল । কিন্তু তোমাতে অনেক স্বলক্ষণ ছিল, আমার বাপ পেই লক্ষণ দেখিয়া বলিয়াছিলেন যে, § on