বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8१७ ] হুইতে উদ্ভূত হইয়াছেন বলিয়া অদ্বৈতভাবে বৈষম্য দোষ ঘটতে পারে না। যদ্যপি স্থিরভাবে কিয়ৎকাল বিচার করিয়া দেখা যায়, তাহা হইলে বুঝা যাইবে যে, পুরাণ শাস্ত্রাদি প্রকৃতপক্ষে ব্রহ্মের সাকার রূপের শাস্ত্র বলিয়া প্রতীতি জন্মিবে । বেদাদিশাস্ত্রে তিনি আকারবিবর্জিত ব্রহ্ম, পুরাণে আকারবিশিষ্ট দেবতা। যেমন জলীয় বাষ্প এবং বরফ প্রকৃতপক্ষে একই পদার্থ, কিন্তু অবস্থাস্তরে আকৃতি প্রকৃতির তারতম্য হয়, সেইরূপ ব্ৰহ্ম এবং ব্রহ্মের লীলারূপ। বেদে অদ্বিতীয় সৎবস্তুর গুণগান করেন, পুরাণে সেই অদ্বিতীয় সংবস্তুর লীলারূপের । গুণগান করিয়া থাকেন। উভয় শাস্ত্রের উদ্দেশ্য এক অদ্বিতীয়, সৎবস্থ, কিন্তু কাৰ্য্যপদ্ধতি স্বতন্ত্র প্রকার। হিসাবমতে বৈদিকশাস্ত্রকে সত্ত্বগুণ এবং পুরাণকে রজোগুণবিশিষ্ট শাস্ত্র বলা যাইতে পারে। বেদের কঠোরসাধন, পুরাণসাধনের কঠোরতা সেরূপ নহে । পুরাণের ভক্তি বা সাধারণ কাৰ্য্য, যথা, সেবাচনাদির ভাব থাকায় সাধারণ জীব বিনা সাধনে সে ভাবের কার্য্য সম্পন্ন করিতে কৃতকাৰ্য্য হইয়া থাকে। এইজন্য বৈদিক ভাবের পরিবর্তে পুরাণভাব প্রকাশ করা পরাৎপর পূৰ্ণব্রহ্মের দ্বিতীয় প্রয়াস হইয়াছে। জীবের কল্যাণ সাধনার্থ যেমন শ্রুতির উৎপত্তি হইয়াছে । জীবের কল্যাণ সাধনের নিমিত্ত তেমনি রূপের উৎপত্তি হইয়াছে, উভয় স্থলের উৎপাদক এক অদ্বিতীয় সৎবন্ত, এই নিমিত্ত পুরাণ এবং বেদ উভয়েই এক। বেদপ্রতিপাদ্য সৎবস্তু। যেমন স্বষ্টি অবলম্বনপূর্বক স্থিরীকৃত হইয়াছে। স্বষ্টি চিৎশক্তিপ্রস্থত ; ফলে চিৎশক্তির বিকাশ বলা যায়। পুরাণেও সেই চিৎশক্তিই অবলম্বন করিবার ব্যবস্থা আছে। উভয় স্থলে উদ্দেশ্য একই প্রকার, এই জন্য বেদ এবং পুরাণের পার্থক্য নাই । বেদ অপেক্ষা পুরাণের সাধনপ্রণালী সুলভ হইলেও গুণ প্রভাবে