বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8૧ના ] রামকৃষ্ণদেবই এক অদ্বিতীয় সাধকরূপে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন । এই নিমিত্ত ধৰ্ম্মজগতে যদ্যপি প্রকৃত উপদেষ্ট বলিয়। কাহাকেও নির্দেশ করিতে হয়, তাহা হইলে রামকৃষ্ণদেবকে বলিতে হইবে। সুতরাং বর্তমান ধৰ্ম্মবিপ্লবকালে রামকৃষ্ণদেব ব্যতীত দ্বিতীয় উপদেষ্টা আর কেহ নাই ! একথা আমি উচ্চৈঃস্বরে বলিতে পারি। রামকৃষ্ণদেব ধৰ্ম্মশাস্ত্র সম্বন্ধে বলিয়াছেন যে, কোন গ্রন্থই অমূলক নহে, কোন ধৰ্ম্মই ভ্রাস্তিসঙ্কুল নহে, যে যে মতে যেভাবে ধৰ্ম্মামুষ্ঠান করে, সে সেই ভাবেই চরিতার্থ হইয়া থাকে। ধৰ্ম্মের ইতর বিশেষ নাই, ভাল মন্দ নাই । ধৰ্ম্ম পথ প্রশস্ত এবং সস্কুচিত, এরূপ কোন কথা নাই। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ কালের মহিমাপ্রভাবে এই অত্যন্ত্র কালমধ্যেই রামকৃষ্ণদেবের ভাবের ব্যতিক্রম হইতে আরম্ভ হইয়াছে। যে ব্যক্তি র্তাহাকে কখন দর্শন করিয়াছে কিনা সন্দেহ, সে ব্যক্তিও এখন রামকৃষ্ণদেবের উপদেশের অধ্যাপক বিশেষ হইয়া দাড়াইয়াছে। যাহার একবার তাহাকে, দর্শন করিয়াছেন, তাহাদের কোন কথাই নাই । বৰ্ত্তমানকালে ধৰ্ম্মজগতে বাস্তবিক ভাববিকৃতির সময় উপস্থিত হইয়াছে। সেইজন্য হিন্দুশাস্ত্র লইয়৷ এত গোলযোগ লাগিয়াছে । সেইজন্য হিন্দু হইয়া হিন্দুশাস্ত্রের অমৰ্য্যাদা করিতে অগ্র পশ্চাৎ ভাবেন না, হিন্দুসস্তান হইয়। মাতৃভূমিকে অস্তরের সহিত ঘৃণা করিতে লজ্জা বোধ হয় না, এমন সময়ে যে রামকৃষ্ণদেবের প্রকৃতভাব বিকৃত হইবে, সে বিষয়ে সন্দেহ কি ? রামকৃষ্ণদেব হিন্দু শাস্ত্রাদি সম্বন্ধে যে প্রকার অভিপ্রায় প্রকাশ করিয়াছেন, তাহ স্বতন্ত্রভাবে আমি ইতিপূৰ্ব্বে সাধ্যমত বলিয়াছি এবং অদ্যও কিঞ্চিৎ সংক্ষেপে বলিলাম। কেবল শাস্ত্রের বিচার করিলে কাহারও কোন ফল ফলিবার সম্ভাবনা নাই । আমা