বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৪৯২ ] জ্ঞানলাভ করিবে । তখন এ প্রকার মরীচিকা দর্শন জনিত ক্লেশ পাইবে না। প্রভু এই কথা শ্রবণ করিবামাত্র রোদন বরিয়া বলিতে লাগিলেন, মা ! হলধারী কি বলিতেছে শুন । জগজ্জননী তদণ্ডে নারীর আকারে উদয় হইয়া কহিলেন, তুমি যেমন আছ, অমনি থাক। রামকৃষ্ণদেব কটিদেশে ব বন্ধন পূর্বক চুটিয়া আসিয়া হলধারীকে কহিলেন, আমি তোমার কথা শুনিব না। আমার মা আমায় বলিয়া দিলেন, তুমি যেমন আছ তেমনি থাক । রামকৃষ্ণদেব সকল কথাই বিশ্বাস করিতেন । তিনি বলিয়াছেন যে, অবিশ্বাস করিব কিরূপে ? সৰ্ব্বশক্তিমানের রাজ্যে কিছুই অসম্ভব নহে । যাহার কটাক্ষে স্বষ্টি স্থিতি-লয় হয়, তাহার ইচ্ছা-শক্তির অসাধ্য কি আছে ? তাহাতে বিশ্বাস থাকিলে তাহার স্বষ্টিতে অধিশ্বাস হইবে কেন ? তিনি বলিতেন যে, বেদ, পুরাণ, তন্ত্র, বাইবেল কোরাণ প্রভৃতি পৃথিবীর সমুদয় ধৰ্ম্মশাস্ত্র সম্পূর্ণ সত্য । এতদ্ভিন্ন বিশ্বাসী যাহা বিশ্বাস করিবে, তাহা ও সত্য । সত্যের রাজ্যে মিথ্যা নাই, মায়া নাই, ভ্রান্তি নাই, মরীচিকা নাই। মায়া ভ্রান্তি মরীচিকা প্রভৃতি মানসিক কুসংস্কার মাত্র। রামকৃষ্ণদেব নিজে বিশ্বাসী হইয়া সৰ্ব্বত্রে সত্যই দেখিতেন, সুতরাং অসত্যজনিত ক্লেশামুভব করিতে র্তাহাকে হইত না । তিনি যখন ম৷ মা বলিয়া নৃত্য করিতেন তখন তাহার যে প্রকার ভাবাবেশ হইত, যে প্রকার প্রেমাবেশ হইত এবং যে প্রকার মহাভাবলাভ পূৰ্ব্বক আনন্দিত হইতেন, অন্য ভাবে অন্য নামে অন্য রূপেও তাহাপেক্ষা কোন অংশে নু্যনত দেখা যায় নাই । পুরাণ তন্ত্রাদির সাকাররূপে যে সমাধি হইত, বৈদান্তিকভাবেও সমাধিকালে তদ্রপাবস্থা লাভ করিতেন । এই নিমিত্ত প্রভু বলিতেন যে শুদ্ধ জ্ঞান এবং শুদ্ধ ভক্তির