পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

I 8: ) দংশনে যখন প্রতিনিয়ত ক্লেশ পায়, তখন সেই যন্ত্রণা হইতে অব্যাহতি পাইবার কোন উপায় শ্রবণ কিম্বা দর্শন করিলে তাহা অবলম্বন করিতে ইচ্ছা করে। গৌরাঙ্গদেবের সময়ে লোকদিগের অবস্থা যদিও রজোতমোভাবে রঞ্জিত হইয়াছিল, কিন্তু তখনও স্থানে স্থানে সত্ত্বগুণ মিশ্রিত থাকায় তাহার হরিনাম, সকলে নহে—কেহ কেহ, গ্রহণ করিয়াছিলেন । রূপ সনাতনাদি ব্যক্তিদিগের ন্যায় যাহার কামিনীকাঞ্চনের পূর্ণরূপ দর্শন করিয়াছিলেন, তাহারা গৌরাঙ্গদেব প্রদত্ত নামাবলম্বন করিতে পারিয়াছিলেন। যাহাদের আকাঙ্ক্ষ সংসারেই পূর্ণ হয় নাই, সাংসারিক উন্নতিদ্বারা যাহাদের আশা মিটিয়াছে, তাহার হরিনাম লইবেন কেন ? এই জন্য তিনি হরিনাম সম্বন্ধ রাখিয়া সাংসারিক ভাবে অবস্থিতি করিতে সকলকে উপদেশ দিয়াছিলেন । সংসারের এমনি কুটিল কাৰ্য্য যে, মহাপ্রভু হরিনাম সাধনার যে অবস্থ। আপনি প্রদর্শন করিয়াছিলেন, চারিণত বর্ষের মধ্যে তাহার সম্পূর্ণ পরিবর্তিত ভাব প্রকাশ পাইয় গেল । এক্ষণে সত্ত্ব গুণ আর নাই, এক্ষণে আর সেরূপ নাম সাধনা নাই, এক্ষণে আর হরিনাম উদ্দেশু নাই ; এক্ষণে কামিনীকাঞ্চন সৰ্ব্বস্ব হইয়া দাড়াইয়াছে । কামিনীকাঞ্চন ঈশ্বরের স্থান অধিকার করিয়া রাখিয়াছে, সুতরাং যাহা লইয়া সাধনা, যথায় ঈশ্বরের বসিবার স্থান, তথায় কামিনীকাঞ্চন বিরাজ করিতেছে ; সুতরাং সে স্থানে আর হরিনাম প্রবেশ করিবার উপায় নাই । বৰ্ত্তমান কালের নরনারীদিগের প্রকৃতপক্ষে এইরূপ অবস্থা দাড়াইয়াছে। এক্ষণে গৌরাঙ্গদেবের হরিনামের আর স্থান নাই। কামিনী কাঞ্চনভাব মনকে পরিপূর্ণ করিয়া চারিদিকে উথলিয়া পড়িয়া যাইতেছে অন্য বস্তুর স্থান হইবে কোথায় ? এই নিমিত্ত এখনকার দেশ, কাল, পাত্র এবং উদ্দেশু লইয়া বিচার করিলে শ্ৰীগৌরাঙ্গদেবপ্রদর্শিত