বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ అరి ] হইয়াছে, যথা ধ্যান, নাম এবং বকলম, স্থান নির্ণয় সম্বন্ধেও প্রভু তিনটী স্থান দেখাইয়া গিয়াছেন, যথা মনে, কোণে এবং বনে । এই বিষয়টা বিচার করিতে হইলে সাধকদিগের অবস্থার দিকে দৃষ্টিপাত করিতে হইবে । মনে, কোণে এবং বনে বলিলে বকলম, নাম এবং ধ্যানের অধিকারীবিশেষের কথা বলিয়া জ্ঞান হইয়া থাকে। অর্থাৎ কোন সাধক বকল্মার অধিকারী, কোন সাধক নামের অধিকারী এবং কোন সাধক ধ্যানের অধিকারী । যে সাধক যে প্রকার অধিকারী, তাহার উদ্দেশু রক্ষা করিতে হইলে সেই প্রকার স্থানের অবশু প্রয়োজন হইয়া থাকে। যেমন বরফ কিম্বা ইথারাদি পদার্থকে উষ্ণ স্থানে রাখা যায় না, তাহাদের স্থান স্বতন্ত্র, তেমনি উদ্দেস্তবিশেষ রক্ষা করিতে হইলে স্থানবিশেষেরও বিশেষ আবশ্যক হইয় থাকে। উল্লিখিত মনে কোণে এবং বনে, এই শব্দত্রেয়ের তাৎপর্য্য বহির্গত করিলে মনে ও কোণের দ্বারা সংসারের ভিতরে এবং বনের দ্বারা সংসারের বাহিরে এই দুইটী স্থান নির্দেশ করিতে হয়। সংসারে থাকিয়া সাধন করিতে হইলে মন এবং কোণ, সংসারের বাহিরে বনে ধ্যান সাধনা করিবার অভিপ্রায় । ফলে ধ্যান করিতে হইলে সংসার ত্যাগ করিবার এবং মন ও কোণ পৰ্য্যস্ত সংসারের ভিতরের কথা । পূৰ্ব্ব বক্তৃতায় বলিয়াছি যে, মন লইয়াই সাধনা, মনের পূর্ণতা লাভ করিতে না পারিলে কখন সাধকশ্রেণীভুক্ত হওয়া যায় না। মনের ধারণাশক্তি বৃদ্ধি ন হইলে কখন ধ্যানাবলম্বন পূর্বক চিত্ত নিরোধ করিতে কৃতকাৰ্য্য হওয়া যায় না। চিত্ত নিরোধ করিতে পারলে তবে সময়ে সমাধিস্থ হইবার সুরাহা জন্মিতে পারে। ধ্যানী হইতে হইলে পূর্ণ মনের প্রয়োজন। মনের পূর্ণতা সাধন করা