পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ૧૨ ] আমি পরিমুক্তি লাভ করিতে পারিব না, তবে গৃহ ত্যাগ করিলে কি ফল হইবে ? যদ্যপি এক গৃহ ত্যাগ করিয়া শত সহস্র গৃহে প্রবেশ করিতে হয়, তাহা হইলে গৃহ ত্যাগ করিবার কোন ফলই ফলিবে না। এই দম্পতী পরিশেষে পরমানন্দে গৃহ ত্যাগ করিয়া বিভু চিস্ত করিবার জন্য বনাভিমুখে ধাবিত হইলেন । বনমধ্যে কতকগুলি হীরকাদি মহামূল্য রত্ন দেখিতে পাইয়। এই ব্যক্তি অতি সাবধানে উহ ধূলায় আৱত করিয়। রাখিলেন । তাহার স্ত্রা সে সময়ে কোন কারণবশতঃ কিঞ্চিৎ পশ্চাদূবৰ্ত্তিনী হইয়। পড়িয়াছিলেন । দূর হইতে স্বামী কি করিতেছেন তাহা তিনি দেখিয়াছিলেন, নিকটে আসিয়া কহিলেন, তুমি কি করিতেছিলে ? স্বামী সসব্যস্থ হইয়া বলিলেন, বিশেষ এমন কিছুই নহে। তোমার বিলম্ব দেখিয়। আমি ধূল খেলা করিতেছিলাম । স্ত্রী এই কথা শ্রবণপূর্বক সেই ধূলারাশি বামপদের দ্বার বিচ্ছিন্ন করিব।মাত্র হীরকাদি বাহির হইয় পড়িল । রত্ন বাহির হইবামাত্র স্বামী কহিলেন,দেখ, আমরা সন্ন্যাসী হইয়াছি, কাঞ্চনের দিকে দৃষ্টিপাত করিও না । দেখ, তুমি স্ত্রীলোক অবলা, অল্প বুদ্ধি তোমার, কি জানি নবীন সন্ন্যাসিনী, বিশেষতঃ এপ্রকার হীরকাদি মহা রত্ন সকল কখন দেখ নাই, পাছে লোভ জন্মিয় তোমার সন্ন্যাস ভাব নষ্ট করিয়া দেয়, সেই জন্য ধূলারাশি দ্বারা উহা আবৃত করিয়া রাখিয়াছিলাম। সে যাহা হউক, চল এ বিষয় লইয়া অধিক আন্দোলন করিবার প্রয়োজন নাই । স্ত্রী স্থির হইয়। স্বামীর সমুদয় কথা শ্রবণ পূৰ্ব্বক কহিলেন, হায় ! হায়! কি কুকৰ্ম্মই হইয়াছে এবং সেই কার্য্যে আমি সহায়তা করিয়াছি, এজন্য আমিও অপরাধিনী হইয়াছি। কামিনীকাঞ্চন ত্যাগ করা সন্ন্যাসীর ব্রত। কামিনীকাঞ্চন ভাববিহীন মন ধ্যানের অধিকারী, কিন্তু সেই কামিনীকাঞ্চন ভাব এখনও তোমার রহিয়াছে, তবে কেন