বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রামমোহন রায়-কেশবচন্দ্র চৌধুরী.djvu/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t যষ্ঠ পরিচ্ছেদ। *○ শিরোমণি, হরনাথ তর্কভূষণ, দ্বারকানাথ মুলী, চন্দ্রশেখর নেব, তারাটা চক্রবর্তী প্রভৃতি রামমোহন রায় কর্তৃক আকৃষ্ট হইয়াছিলেন। এতদ্ভিন্ন আর এক ব্যক্তির কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা কৰ্ত্তব্য। রামমোহন রায়ের বিলাত গমনের পর, সকলেই একে একে আত্মীয়-সভা পরিত্যাগ করিলেন ; কেবল ইনিই নিষ্ঠ ও শ্রদ্ধাপূর্ণ হৃদয়ে সভার কার্য রক্ষা করিতে লাগিলেন। এই ব্যক্তি ব্ৰাহ্মসমাজের প্রথম আচাৰ্য্য ও মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের দীক্ষাগুরু পণ্ডিত রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ । রামমোহন রায় প্রথম এডাম্ সাহেবের “ইউনিটেরিয়ান সোসাইটী” নামক স্থানে যাইয়ু, উপাসনায় যোগদান করিতেন। সেখানে একেশ্বরবাদী খৃষ্টানদিগের মতানুসারে উপাসনা হইত। এক দিন তিনি উপাসনার পর সশিষ্যে বাড়ী আসিতেছিলেন, এমন সময়ে, তারাচাঁদ চক্ৰবৰ্ত্তী ও চন্দ্রশেখর দেব বলিলেন, “আমাদের নিজের একটা উপাসনা-গৃহ প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।” এই প্রস্তাবটি রামমোহন রায়ের মনের সহিত মিলিয়া গেল। তিনি দ্বারকানাথ ঠাকুর ও অন্যান্য কয়েক জন বন্ধুর সহিত পরামর্শ করিয়া, এই স্বমহৎ উদ্বেগু সাধনে অগ্রসর হইলেন। জোড়ার্সাকো চিৎপুর রোডের উপর কমল বম্বর বাড়ী ভাড়া লইয়া, সেখানে ১৮২৮ খৃষ্টাব্দের ৬ই ভাদ্র তারিখে প্রকৃতরূপে ব্রহ্মোপাসনা আরম্ভ হইল। এই দিন ভার