পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨ર রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র ক্ষমতা সঙ্কীর্ণ ও সীমাবদ্ধ ছিল। এরূপ স্থলে পিতা বৰ্ত্তমানে পুত্র কতটা স্বাধীনত} পাইতেন, ইহা অতুসন্ধানের বিষয় । পিতা বর্তমানে পৃথকৃ ভাবে গৃহস্থালী পাতিয়া পৃথকৃ ভাবে অগ্ন্যাধান করিয়া শ্রেীত কৰ্ম্মের অনুষ্ঠানে পুত্রের স্বাধীনতা কত দূর ছিল, তাহা অনুসন্ধানের বিষয়। যদি বা পুত্র সেইরূপ স্বাধীনতা পাইতেন, তাহা হইলে র্তাহার পৈতৃক দায়াধিকারে কোনরূপ সঙ্কোচ ঘটিত কি না, তাহাও অনুসন্ধানের বিষয়। অগ্নিহোত্র প্রসঙ্গে এই সকল প্রশ্ন আপনা হইতে উপস্থিত হয়। আমি এ সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারিব না। ধৰ্ম্মশাস্ত্রব্যবসায়ী দুই চারি জন পণ্ডিতকে জিজ্ঞাসা করিয়াও ভাল উত্তর পাই নাই। আপনাদের নিকটে প্রশ্ন কয়টি উপস্থিত করিয়া উত্তরের প্রত্যাশায় আমি ক্ষান্ত থাকিলাম । অগ্ন্যাধান এবং অগ্নিহোত্রের বিবরণ দিয়া আজ আমি বিদায় লইলাম । ইষ্টিষাগ ও পশুযাগ এবং সোমবাগ প্রভৃতি কয়েকটি শ্রেীত যজ্ঞের বিবরণ লইয়া পরে উপস্থিত হইতে ইচ্ছা করি। সর্বশেষে যজ্ঞানুষ্ঠানের ব্যাপক অর্থ গ্রহণ করিয়া বেদপন্থীর জাতীয় জীবনে ইহার তৎপরতা বুঝিবার চেষ্টা করিব। ইঠিযাগ ও পশুযাগ এক শ্রেণীর শ্রেীত যজ্ঞের নাম ইষ্টিষাগ । আহিতাগ্নি গৃহস্থকে প্রত্যেক অমাবস্যায় এবং প্রত্যেক পূর্ণিমায় একটি ইষ্টিযাগ করিতে হইত। যাবজ্জীবন করাই বিধি ; নু্যন পক্ষে ত্রিশ বৎসর ধরিয়া করিতে হইত। অমাবস্যার ইষ্টিযাগের নাম দশষাগ, আর পূর্ণিমার ইষ্টিযাগের নাম পূর্ণমাস-যাগ। উভয় যজ্ঞেরই বিধিবিধান প্রায় একরূপ। আমি কেবল পূর্ণমাস-যাগের বিবরণ দিব। পূর্ণমাস-যাগের অনুষ্ঠানটি আয়ত্ত হইলে যাবতীয় ইষ্টিযাগের অনুষ্ঠান বুঝিতে পারা যাইবে। যজ্ঞিকের ভাষায় পূর্ণমাস-ষাগ যাবতীয় ইষ্টিযাগের প্রকৃতি বা model ; আর আর ইষ্ট্যিাগ তাহার বিরুতি। পূর্ণমাস যাগের বিধি সকল ইষ্ট্যিাগেই প্রযোজ্য ; কেবল ক্ষেত্রভেদে বিশেষ বিধি রহিয়াছে। পূর্ণমাস-যাগ প্রত্যেক পূর্ণিমায় সম্পাদ্য। এই যজ্ঞে প্রধান আহুতি দুইটি। প্রথম আহুতি অগ্নিদেবতার উদ্দিষ্ট ; দ্বিতীয় আহুতি অগ্নি এবং সোম, এই উভয় দেবতার প্রতি একযোগে উদ্দিষ্ট । যে দ্রব্য আহুতি দেওয়া যায়, তাহার নাম পুরোডাশ । এই পুরোডাশ যবের অথবা চাউলের রুটি মাত্র। যব অথবা চাউল বাটিয়া আগুনে সেকিয়৷ এই রুটি প্রস্তুত হয়। অধ্যযু নামক ঋত্বিক স্বহস্তে এই পুরোডাশ প্রস্তুত করেন। কয়েক মুঠ যব অথবা ব্রীহি ধান লইয়া তাহা উখুলে রাখিয়া কঁাড়িতে হয় ; তার পর কুলা দ্বারা ঝাড়িয়া তুষ ও ক্ষুদ গুড়া পৃথক করিয়া ফেলিতে হয় ; তাহার পর শিলে বাটিয়া পিটুলি তৈয়ার হয়। এই পিটুলি আগুনে সেকিয়া রুটি বা পুরোডাশ তৈয়ার হইবে। সেকিবার জন্য কয়েকখানি ছোট ছোট মাটির খোলা বা কপাল থাকে। খোলাগুলি চতুষ্কোণ ; কতকগুলি কোণ ভাঙ্গিয়া ও ঘষিয়া '