পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\9 3 রামেন্দ্রহনীর রচনাসমগ্র ইঠিযাগের চারি জন ঋত্বিক আবশ্যক। অধ্যযু হোতা, ব্ৰহ্মা এবং অগ্নীং । পশুযাগে আরও দুই জন আবশ্যক। এক জন অধ্বযু্যর সহকারী ; তাহার নাম প্রতিপ্রস্থত। অার এক জন হোতার সহকারী ; তাহার নাম মৈত্রাবরুণ। এই ছয় জন ঋত্বিকৃ লইয়া পশুযাগ আরম্ভ করিতে হয়। ইষ্টিযাগে যজ্ঞের সরঞ্জাম রাখিবার জন্য যে বেদি থাকে, সেই বেদির পশ্চিমে থাকে গার্হপত্য এবং পূৰ্ব্বে থাকে আহবনীয়। পশুযাগে আরও একটি বেদি নিৰ্ম্মাণ করিতে হয়। ইহার নাম পাশুক বেদি । আহবনীয় অগ্নিরও পূৰ্ব্ব দিকে এই বেদি নিৰ্ম্মিত হয়। এই পাশুক বেদিরও উপরে আরও একটি ছোট বেদি তুলিতে হয় ; তাহার নাম উত্তরবেদি। যজ্ঞশালার উত্তর দিকে মাটি তুলিয়া সেই মাটিতে উত্তরবেদি গড়া হয়। মাটি তুলিলে যে গৰ্ত্ত হয়, সে গৰ্ত্তের নাম চাতাল । চাত্বালের কাছে পাশুক বেদির ধূলি আবর্জন স্তুপাকৃতি করিয়া রাখা হয়। ঐ স্তুপের নাম উৎকর। উত্তরবেদির মধ্যস্থলের নাম নাভি। আহবনীয় হইতে অগ্নি আনিয়া এই নাভিতে রাখা হয়। নাভিস্থিত সেই অগ্নিতে আবার নূতন অগ্নি নিক্ষেপ করিতে হয়। অরণি ঘর্ষণ করিয়া অগ্নিমন্থন দ্বারা এই নূতন অগ্নি উৎপাদিত হয়। নাভিতে এই দুই অগ্নি মিশাইলে তদবধি এই অগ্নির নূতন আহবনীয়রূপে গণ্য হইয়া থাকে। পুরাতন আহবনীয় আপনার মর্য্যাদা হারাইয়৷ তদবধি গাহঁপত্যের কাজ করে । পাশুক বেদির উপরে পশুযাগের উপযুক্ত সরঞ্জাম এবং আহুতির দ্রব্য রাখিতে হয়। পশুবন্ধনের জন্য যুপের দরকার। এই যুপ কাঠের স্তম্ভ মাত্র। অধ্যযু স্বয়ং ছুতারের সহিত বাহিরে গিয়া গাছের ডাল কাটিয়া আনেন। উহার ডালপালা ছাটিয়া অষ্টকোণ স্তম্ভ বা খুঁট প্রস্তুত করা হয়। যুপ অত্যুন পাচ হাত দীর্ঘ হয় ; হাতখানেক মাটির নীচে পোতা থাকে। পাণ্ডক বেদির পূর্ব দিকে যুপ পোত হয়। আটকোণা যুপের মাথায় একটা মুকুট থাকে ; তাহার নাম চষাল। যুপের গায়ে দ্বি মাখাইতে হয় ; এই কৰ্ম্মের নাম যুপাঞ্জন । তারপর দড়ি জড়াইতে হয়, এই দড়ির নাম রশনা। রশনার ভিতরে এক খণ্ড কাঠ পরাইতে হয়, এই কাষ্ঠথণ্ডের নাম স্বরু । প্রত্যেক কৰ্ম্ম অধ্বযু সম্পাদন করেন, আর হোতা প্রত্যেক কর্শ্বের অনুকূলে ঋকৃমন্ত্র পাঠ করেন। এইরূপে যুপ পশুবন্ধনযোগ্য হয় । বন্ধনের পূর্বে পশুকে দুইগাছি কুশ দ্বারা স্পর্শ করিতে হয় ; ইহার নাম উপাকরণ। পশুর দুই শিঙের মাঝে দড়ি বাধিয়া সেই দড়ি যুপের রশনায় বাধিতে হয়। এইরূপ পশুবন্ধনের নাম পশুনিয়োজন । পশুর কপালে ঘি মাথান হয় । இ নিয়োজনের পর যাগের আয়োজন । যাগের আরম্ভ অনেকটা ইষ্টিযাগের আরম্ভেরই মত। উত্তরবেদির নাভিতে যে নূতন আহবনীয় অগ্নি স্থাপিত হইয়াছে, সামিধেনী মন্ত্রের সহিত তাহাতে সমিৎ প্রক্ষেপ করিয়া আগুন জালান হয়। পরে সেই আগুনে আবার হোম করিয় দেবহোতা অগ্নির বরণ এবং তৎপরে মানুষ হোতার বরণ ইষ্টষাগেরই মত। বরণ পাইয়া দেবতারা যজ্ঞস্থলে আসেন। এখন প্রধান যাগের পূৰ্ব্ববর্তী প্রধাজ যাগ। ইষ্টষাগে পাচটি মাত্র প্রধাজ ; পশুযাগে প্রষাজের সংখ্যা এগারটি। এই এগার যাগের দেবতাও এগার জন। ইষ্টিযাগের পাচ জন ত আছেনই ;