পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૨8 রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র তাহাও সৰ্ব্বতোভাবে আমার অধিকার-বাহভূত । এই ੋਂ র্তাহার জীবন বা কৰ্ম্ম সম্বন্ধে সমালোচনায় আমি কোন ক্রমেই যোগ্য নহি । তথাপি ধখন ‘সাহিত্য’ পত্রের সম্পাদক মহাশয় অল্পগ্রহপূর্বক আমার প্রতি এই ভার অর্পণ করিলেন, এবং ওজন্য আমাকে সাহায্য করিতে প্রস্তুত হইলেন, তখন এষ্ট অনধিকার চর্চায় প্রবৃত্ত হইতে আমি দ্বিধ বোধ কবি নাই । দর হইতে তাহার রচনা পাঠ কবিয়া তাহার প্রতি ষে অত্যধিক অনুরাগ ও ভক্তি জন্মিয়াছিল, তাহ প্রকাশের অবসব লাভ কবিয়া, সেই লোভের সংবরণ আমার পক্ষে দুঃসাধ্য হইয়াছিল। উমেশচন্দ্রের জীবন-চরিত্র লিপিবদ্ধ করা বৰ্ত্তমান প্রবন্ধের উদ্দেশ্য নহে। আশা করি, যোগ্যতর ব্যক্তি এই কার্য্যের ভাব গ্ৰহণ করিবেন। উমেশচন্দ্র স্বয়ং তাহার জীবন-চরিত লিখিবার ইচ্ছা করিয়া তাহার ভূমিকা মাএ লিখিয়া গিয়াছেন। সেই অসম্পূর্ণ ভূমিক হইতে ও তাহার পুত্ৰগণের নিকটু হইতে সংগৃহীত বিবরণ হচতে সংগ্ৰহ করিয়া তাহার জীবনের স্থল ঘটন কয়টির উল্লেখ করিতেছি । গুগলী জেলার অন্তঃপাতা থানাকুলের অন্তর্গত রামনগর গ্রাম উমেশচন্দ্র বটব্যালের জন্মস্থান। ১২৫৯ সালের ভাদ্র মাসে তাহার জন্ম হয় । ১৩০৫ সালের ১লা শ্রাবণ তাহার লোকান্তর-প্রাপ্তি ঘটে। ছেচল্লিশ বৎসর পূর্ণ না হইতেই এই কৃতী বঙ্গসন্তানের অকালমবণ কেশবচন্দ্র সেন ও ক্লষ্ণদাস পাল ও অন্যান্তা বঙ্গসন্তানের স্মৃতি জাগাইয়া দিবে। থানাকুল কৃষ্ণনগর গ্রাম ও অন্যান্য রত। বঙ্গসন্তানের জীবনের সহিত সম্পর্কস্থত্রে সাহিত্য-সমাজে অপরিচিত নহে। এই গ্রামের অন্তর্গত অন্য৩র পল্লী রাধানগর বামমোহন রায়ের জন্মভূমি। রামমোহন রায়ের ও উমেশচন্দ বটব্যালের পূর্বপুরুষেরা স্থানীয় সমাজের উভয় প্রতিদ্বন্দ্বী দলের নেতা ছিলেন ও এই সম্পর্কে রামমোহন বায়ের সময়েও উভয় দলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। রামমোহন রায়েব সমকালবৰ্ত্তী রামকানাই বটব্যাল উমেশচন্দ্রের বৃদ্ধপিতামহ। রামকানাইয়ের পিতৃ-পিতামহ বৈষ্ণব ছিলেন ; রামকানাচ আপন পরিবার মধ্যে স্বকল্পিত স্বস্ত্র-সহকারে অভিনব পদ্ধতিতে শক্তিপূজা প্রচলন করিয়া যান। তাহ এখনও তাহার বংশধরগণের মধ্যে চলিয়া আসিতেছে। উমেশচন্দ্র সেই শক্তি উপাসনার তাৎপৰ্য্য বর্ণনা করিতে প্রচুর আনন্দ অনুভব করিতেন। উমেশচন্দ্রের পিতার নাম দুর্গাচরণ বটবালি, মাতার নাম প্রসন্নকুমারী দেবী। vপ্রসন্নকুমার সর্বাধিকারি-প্রতিষ্ঠিত রাধানগর ইংরেজী স্কুলে ১৮৬৮ অন্ধে উমেশচন্দ্র প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া কলিকাত আসেন , ১৮৭২ অব্দে সংস্কৃত কলেজ হইতে বি. এ. উপাধি লাভ করেন , ১৮৭৪ অব্দে সংস্কৃত শাস্ত্রে এম. এ. এবং পর-বৎসর বি. এল, উপাধি লাভ করিয়া শিক্ষকতাবৃত্তি গ্রহণ করেন। অনস্তর ১৮৭৬ অব্দে তিনি প্রেমদাদ রায়চাদ বৃত্তি লাভ করিয়া মেীয়ট পদক পুরস্কার পান। পঠদশার অন্য পরিচয় অনাবশ্বক। উমেশচন্দ্র ১৮৭৭ অবে ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেটরূপে গবর্ণমেণ্টের কাজে নিযুক্ত হন্ত্রেন ; কয়েক স্থানে ঐ কার্য্যের পর দশ বৎসর পরে ষ্ট্যাটুটারী সাভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ