পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

v★ 歌 রামেঞ্জস্বন্দর রচনাসমগ্র ব্যঞ্জনধ্বনির বিশিষ্ট লক্ষণ এই যে, উহা ক্ষণস্থায়ী; এত অল্প সময় ব্যাপিয়া উহার স্থিতি যে, পূর্বে বা পরে স্বরধ্বনি না থাকিলে উহার উচ্চারণ চলে না। পূর্বে বলিয়াছি, ঘড়ি পিটিলে যে ‘টং’ শব্দ হয়, উহার 'ঢ'-টুকু ক্ষণস্থায় ; ঢ’য়ের পরবর্তী স্বর ‘অ’-টুকু ঢ’য়ের বিরামের পর বহুক্ষণ থাকিয় ক্রমশঃ থামিয়া যায়। আমরা কী, কি, কু, ইতjiদ স্বরাষ্ট্র ব্যঞ্জন উচ্চারণ করিতে পারি; আবার অকৃ, ইকৃ, উকৃ, এইরূপে আদিতে স্বর বসাইয়া ব্যঞ্জনের উচ্চারণ করতে পারি; কিন্তু স্বরবজ্জিত শুদ্ধ ব্যঞ্জনটুকু উচ্চারণ করিতে পারি না। হাওয়া কণ্ঠনালা হইতে মুখকোটরে বাহির হইবার সময় যদি কোনরূপ বাধা পায়, সেক্ত বাধার সমকালে বাহির হয় ব্যঞ্জনের ধ্বনি বাধাট, সরিয়া গেলে যাহা বাহিরে আসে, তাহা স্বর। ব্যঞ্জনের ধ্বনি ক্ষণিক ও কর্কশ, স্বরের ধ্বনি স্থায়ী ও মধুর। যাবতীয় সঙ্গীতের কারবার এই স্বরের ধ্বনি লইয়া, ব্যঞ্জন কেবল থাকিয়! থাকিয় ঠোকর দেয় ও বিরাম দিয়া তাল রক্ষা কবে । খাটি স্বরের উচ্চারণে মুখ একেবারে গোল থাকে ‘A “বিবৃত থাকে । হাওয়া অবাধে বাহিৰ হয়। তবে মুখকোটরটার আকৃতি গগুসারে ঐ স্বরের নানারূপ বিকাৰ উপস্থিত হয়। ‘আ’ উচ্চারণের সময় আমর। একেবাবে বদন ব্যাদান করিয়া হঁ। করিয়া থাকি, তখন জিহ্বাট মুখ গহবরের নীচে নামিঘ। সঙ্গচিত হইয়া থাকে। ‘ঈ উচ্চারণের সময় জিহবা উপরে উঠিয়া তালুর নিকটবর্তী হয়, জিহবার অগ্রভাগ নিচের পাটির দাতের পশ্চাতে আসিয় পড়ে। মুথের কোটিব তখন অনেকটা ছোট চষ্টয় পড়ে। ’উ’ উচ্চারণের সময় মুখকোটর আরও ছোট হয তুষ্ট ঠোট কাছাকাছি আসে , দুই ঠোটেব মাঝে একটি ছোট বিবর উৎপন্ন হয়, ঐ বিলবের দ্যয়ার দিয়া BBS BBB BB S BBBBBB BBBB BBBB BBBB BBBB BB BBS বাণীতে ধেমন একটা মূল ধ্বনির সহিত অন্যান্য ধ্বনি মিশ্রিত হতীয় মূল ধ্বনিকে বিকৃত করে, সেক্টরূপ মুখকোটরেও কঠোদগত মূল ধ্বনির সহকারে অন্যান্য ধ্বনি উৎপন্ন হইয়া ও মিলিয়া মিশিয়া মূল ধ্বনির এইরূপ লিকাব উৎপাদন করে। একই অ পিকত হইয়| "ঈ"-তে বা 'উ' তে পরিণত হয় । প্রকৃত পক্ষে অ ঈ উ প্রভৃতি ভিন্ন ভিন্ন স্বরের ধ্বনি একই মূল ধ্বনির সহিত অন্যান্য উচ্চতর ধ্বনির সংযোগে উৎপন্ন ; উহার একই মূল ধ্বনির বিবিধ বিকার মাত্র। কোন কোন ধ্বনি মিশিয়া কি কি স্বর উৎপন্ন হইয় থাকে, প্রসিদ্ধ বৈজ্ঞানিক হেলমহোলৎজ, প্রথমে তাহার তত্ত্ব নিরূপণ করিয়াছিলেন। ‘অ’ ‘ই’ ‘উ প্রভৃতি বিভিন্ন স্বরের মধ্যে কোনটার ভিতর কি কি ধ্বনি আছে, তাহ। তিনি বিশ্লেষণ দ্বারা আবিষ্কাব করিয়াছিলেন এবং সেই বিশ্লেষণে যে যে ধ্বনি বাহির হইয়াছিল, সেই সেই ধ্বনি মিশাইয়৷ ‘অ’ ‘ই’ ‘উ’ প্রভৃতি নানাবিধ স্বর যন্ত্ৰযোগে উৎপাদন করিয়াছিলেন । এ সকল বিজ্ঞানবিদ্যার আলোচ্য। শব্দশাস্ত্রে এ সকল স্বল্প তত্ত্বের খোজ লওয়া দরকার হয় না। এখানে মোট আলোচনা চলে। এই মোট আলোচনায় দেখা যায় ষে, সংস্কৃত ভাষার প্রচলিত বর্ণমালায় তিনটি স্বর অাছে । ,জ’ ‘ই’ ‘উ ; এই তিন স্বরের প্রত্যেকের আবার মাত্রাভেদে হ্রস্ব দীর্ঘ ও প্লুত এই