বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৫৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টচত্বরিৎশ পরিচ্ছেদ । সুসিমা সাগর । ২৫ শে ও ২৬ শে জাপানী যোদ্ধাগণ উদগ্রীব-সকলই উদ্বিগ্ন । সামান্য নাবিক হইতে সেনাপতি পৰ্য্যন্ত সকলে শক্ৰ-যুদ্ধপোত কোনদিকে আসিতেছে কিনা দেখিবাব জন্য ব্যাকুল। শত শত দুরবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহৃত হইতেছে ;-সেনাপতি টোগো তাহাব বৃহৎ মিকাসা জাহাজে নী ববে পদচাবণ কবিতেছেন । কেহ তাহাব সহিত কথা কহিতে সাহস কবিতেছে না ! এই ৰূপে ঘোবি উদ্বিগ্নতায় ২৬ শে তাবিখেব বাত্রি ও কাটিয়া গেল। ক্রমে “প্ৰাতঃস্থায্য পূৰ্ব্ব দিকে লোহিত বঙ্গে বঞ্জিত কবিয়া ধীবে ধীবে পূর্ব গগনে উঠিতে লাগিলেন । এই সময়ে সহসা মিকাসা জাহাজে এক তাব শূন্য টেলিগ্ৰাফ উপস্থিত হইল। যে সকল জাপানী জাহাজ রুষবণপোতেব পাহাবায় আসিতেছিল, তাহাবাই একখানা টেলিগ্রাফ কবিয়াছে,-“শক্ৰব নৌবাহিনী সুসিমা সাগবে প্ৰবেশ কবিয়াছে । বোধ হয় ইহাবা পূৰ্ব্ব শাখা-পথ দিয়া গমন কবিবে।” জাপগণ উৎসাহে উন্মত্ত,-টোগো তাহাব সমস্ত জাহাজের তৎক্ষণাৎ নঙ্গব তুলিলেন । সে দৃশ্যোব বর্ণনা হয় না । তবে রুষেব সমস্ত রণ পোত এই পথ ধবিয়াছে—না জাপ-সেনাপতিব চক্ষে ধুলি দিবােব জন্য কেবল কতকগুলি জাহাজ এই পথে আসিতেছে । তাহাদেব অধিকাংশ জাহাজ অন্যপথ ধরিয়াছে কিনা এখন ইহাই বিবেচ্য। জাপ-জাহাজ ভুলাইয়া অন্যত্ৰ লইয়া যাওয়া বিচিত্র নহে ; কিন্তু টোগো কোন