পাতা:রেখা-দীনেশচন্দ্র সেন.djvu/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○マーt|1 حسمصاف هم حر জন্মান্তর-বাদ । জন্মান্তর’-সম্বন্ধে খৃষ্টানদের বিশ্বাস নাই ; আমাদের ব্রাহ্ম বন্ধুগণও জন্মান্তর মানেন না। তবে আমরা পশ্চিম-দেশীয় কি এতদেশীয় আধুনিক কোন বড়-কৰ্ত্তার ডাক-দোহাই না মানিয়া, যুক্তি দ্বারা এ প্রশ্নের মীমাংসা করিতে চেষ্টা করিব। জন্মান্তর-বাদের ভিত্তি আত্মার অবিনশ্বরত্ব । জীবাত্মার অস্তিত্ব স্বীকার না করিয়া যদি জীবকে কতকগুলি শীতোষ্ণ সুখদুঃখ-সম্বলিত অনুভূতির সমষ্টি-মাত্র বলা হয়, তবে অবশুই ঘটনাচক্রে সেই সব অনুভূতির মিলন ও বিমিশ্রণ একরূপ সিদ্ধান্ত করা যাহতে পারে। কিন্তু আমরা তাহ মানি না । জীবাত্মা না থাকিলে অহংজ্ঞান হইত না। অনুভূত জ্ঞান স্বীকার করিতে অমুভব-কৰ্ত্তাকে অবগুই স্বীকার করিতে হইবে। যদি একবারমাত্র অমুভব-কৰ্ত্তী একজনের অস্তিত্ব স্বীকার করিলে, তবে তাহার অবিনশ্বরত্বও অবশুই মানিতে হইবে। কারণ, জগতে কোন বস্তুর ধ্বংস কি উৎপত্তি তুমি দেখ না। যাহা আছে, তাহ চিরদিনই আছে ; যাহা নাই, তাহ আজও নাই, কস্মিনকালেও হইবে না । তবে জড়-বস্তু সম্বন্ধে রূপান্তর দেখি কেন ? যতগুলি পরমাণু দ্বারা বিশ্বরাজ্য গঠিত, সেগুলি পূৰ্ব্বেও ছিল, এখনও আছে, পরেও থাকিবে। পরমাণু নিত্য। যাহা কিছু আছে, সকলই নিত্য। তবে রূপ শুধু অনিত্য। রূপ বলিয়া কোন পদার্থ নাই।