পাতা:লালন শাহ ও লালন গীতিকা.djvu/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ वा ] প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে, ১৯৫৩ সালের আযাদী সংখ্যা মাহে নও পত্রিকায় বর্তমান প্রবন্ধ-লেখকের একটি বিশেষ প্রবন্ধ প্রকাশিত হয় । তাতে সর্ব প্রথমেই এরূপ দাবী করা হয় যে, বসন্তবাবু প্রমুখ প্রচারিত লালনজীবনী সম্পূর্ণ কাল্পনিক এবং বনোয়াট কাহিনী মাত্র ; তার মূলে কোন সত্য নেই। লালন জন্মগত ভাবেই মুসলমান এবং তার জন্মস্থান নদীয়া (কুষ্টিয়া ) জিলার ভাড়ার গ্রামে নয়—যশোর জিলার হরিশপুর গ্রামে। পরবর্তীকালে একাধিক প্রবন্ধেও তিনি এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে এ কথা প্রমাণিত করেন । কিন্তু যথাসময়ে কোন গ্রন্থ প্রকাশিত না হওয়ায় পাঠক-সমাজ লালন ও তার সম্প্রদায়ের যথার্থ পরিচয় না পেয়ে নানা বিভ্রাস্তির মধ্যে অবস্থান করছিলেন । বাংলা একাডেমী-কতৃপক্ষের কল্যাণে বর্তমান গ্রন্থের ১ম খণ্ড ইতিপূর্বেই প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বইখানি বহু পূর্বে লিখিত হওয়ায় লালন সম্পর্কে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য তাতে সন্নিবেশিত হ’তে পারে নি। ফলে নতুন করে আরও কিছু তথ্য এখানে পেশ করা যাচ্ছে । প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে, বর্তমান নিবন্ধে ব্যবহৃত উপাদান নিয়ে ইতিপূর্বেই একাধিক পত্রিকায় কয়েকটি প্রবন্ধ লেখা হয়েছিল, প্রয়োজন বোধে এখানে কোথাও বা হুবহু এবং কোথাও বা সার সংকলন করা গেল । প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে, লালনের সহোদর কলমের বংশধরেরা অষ্ঠাবধি হরিশপুর গ্রামে অতি দরিদ্র অবস্থায় দিন যাপন করছেন। তার অন্যতম প্রিয় শিন্ত শুকুর শাহের উত্তরাধিকারীরাও যশোর জিলার শৈলকুপা থানার এলাকাধীন "চড়চড়িয়া’ গ্রামে বসবাস করছেন। এখানে লালনের একটি আস্তান বা আখড়া ছিল। এই আখড়ার বর্তমান উত্তরাধিকারীদের পক্ষে জনাব আমীর হোসেন ও অধ্যাপক আমজাদ হোসেন শাহ সাহেবদ্ধর জানিয়েছেন যে, তারা লালন শাহের শিন্ত শুকুর শাহের ওয়ারিশন । র্তাদের কাছ থেকেই জানা যাচ্ছে যে, কুষ্টিয়ার ছেউড়ে গ্রামে স্থায়ীভাবে আস্তান ক’রবার পূর্বে লালন যশোর জিলাস্থ তার চড়িয়ার আখড়া’ ংক্রান্ত যাবতীয় সম্পত্তি (অনুমান শত বিঘা জমীসহ ) তার শিন্ত শুকুর