পাতা:লালন শাহ ও লালন গীতিকা.djvu/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

访 গ্রামের মলম শাহের দ্বারা উদ্ধারপ্রাপ্ত হন ও তার শুশ্রুষায় নিশ্চিত স্বত্যুর হাত থেকে রক্ষা পান । মনে হয়, সেই থেকেই ছেউড়ে গ্রামের প্রতি তার আকর্ষণ হয়, পরিণামে তিনি নিজ জন্মভূমি হরিশপুর, আখড়। চড়িয়া' ইত্যাদির মায়া কাটিয়ে ছেউড়ে গ্রামেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। সে-কথা যাক। এবার পূর্ব কথিত দুদ, শাহ লিখিত লালন-চরিতের কলমী পুথি ও অন্যান্য প্রামাণ্য তথ্য অবলম্বনে লালনের নির্ভরযোগ্য বিবরণী পেশ করার চেষ্টা করা যাক । লালন শাহ্ একজন ক্ষণজন্ম। সাধু পুরুষ । কিন্তু আফসোসের বিষয়, তিনি আজ একটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং কাল্পনিক লোক-কথার নায়ক হ’য়ে আছেন । বলা বাহুল্য, সত্যিকার লালন আজ মিথ্যা, শুধু মাত্র তার নামটিই জারী আছে । ১১৭৯ সালের ১লা কাতিক তারিখে যশোর জিলার হরিশপুর গ্রামের সন্ধান্ত দেওয়ান পরিবারে লালনের জন্ম হয় ( = ১৭৭২ ঈ )। তার পিতার নাম দরীবুল্লাহ দেওয়ান’ দাদার নাম গোলাম কাদির ( দেওয়ান ) ও মাতার নাম আমিনা খাতুন । দুন্দর ভাষায়— “এগারো শো উন আশি কাতিকের পহেলা । হরিষপুর গ্রামে সাইর আগমন হৈলা । গোলাম কাদের হন দাদাজী তাহার বংশ পরস্পর বাস হরিষপুর মাঝার । দরীবুল্লাহ দেওয়ান তার আববাজার নাম । আমিনা খাতুন মাতা এবে প্রকাশিলাম ।” ১. খুব সম্ভব, লালনের পূর্ব পুরুষ কেউ কার্য বা বিচারক ছিলেন। মেহাস্পদ লুৎফর রহমান একটি প্রাচীন টুকরা কাগজে লালনের পিতার নাম দেয়নেত কাজী শব্দটি পেয়েছেন । এই 'দেয়নেত’ ‘দেওয়ান’ শব্দের অপভ্রংশ বলে মনে হয় ।