পাতা:লালন শাহ ও লালন গীতিকা.djvu/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ उ ] দুঙ্গ, শাহ যে লালনের সবচেয়ে প্রিয় এবং অন্তরঙ্গ শিন্ত ছিলেন, বর্তমান জীবন-চরিতেও তার আভাস মেলে । এ-বিষয়ে সমকালীন অন্য সাক্ষ্যও পাওয়া গেছে। সমকালীন হরিশপুরের গ্রামবৃদ্ধর এ-বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। দুদ, শাহের অন্যতম সমমর্মী বন্ধু পাঞ্জ, শাহের পুত্র রফিউদ্দীন সাহেবও এ-বিষয়ে সাক্ষ্যদান করেছেন। সম্প্রতি কুষ্টিয়া কলেজ বার্ষিকীতে খোলকার রিয়াজুল হক লিখিত প্রবন্ধেও এ-কথা উল্লিখিত হয়েছে— “লালন দুদ, শাহ-র পাণ্ডিত্যে এবং স্বজনী ক্ষমতায় এতই মুগ্ধ হন যে, তিনি তাহার শিষ্ঠদেরকে বলিতেন, তারা দুদ-কে দাদা ব'লে ডাকিস । ও আমার বাপ, ওর ক্ষমতা আমার থেকেও বেশী । ** দুদ, লিখিত আলোচ্য লালন-চরিত” খানিকে মধ্যযুগীয় "চরিত কাব্য’ বা "পীর মাহাত্ম্য কাব্য’ শ্রেণীভুক্ত করা যায় । কিন্তু মাহাত্ম্য-কাব্য হ’লেও এর ঐতিহাসিকতা অনস্বীকার্য । * ‘লালন-চরিত’ কাহিনী অতিরঞ্জিত সন্দেহ নেই, তবে এ-কথাও সত্যি, এর চেয়ে প্রামাণ্য বিবরণীও কেউ দিতে পারেন নি । এই প্রসঙ্গে লালন-চরিতে উল্লিখিত একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। ঘটনাটি এইরূপ-- ζ নবদ্বীপের এক সাধু-সভায় লালন হাযির ছিলেন । সভাটি ছিলে বষ্ণব সমাজ কতৃক আয়োজিত। মনে হয়, সভাতে লালন শাহ-ই একমাত্র মুসলিম অর্থাৎ ‘যবন ছিলেন। ব্যাপারটি জানাজানি হয়ে গেল— “পণ্ডিত মণ্ডলী তাকে বিবিধ পুছিল। সাইজী নাম ধাম সকলি বলিল । সেবার সময় হইল পণ্ডিত সভার । যবন বলিয়া দূরে সেবা দিল তার।” ১ “লালন অনুগামী দুগ্ধ.' খোন্দকার রিয়াজুল হক, ( কুষ্টিয়া কলেজ বার্ষিকী ) ঃ ১৯৬৪-৬৫, পৃঃ ১৬