পাতা:লালন শাহ ও লালন গীতিকা.djvu/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ষ ] একদিন না দেখলাম যারে fচনব তারে কেমন ক’রে ভাগ্যেতে আখেরে তারে চিনতে যদি পাই । २• আমার ঘরের চাবি পরের হাতে কেমনে খুলিয়ে সে ধন দেখব চক্ষেতে। আপন ঘরে বোঝাই সোনা, পরে করে লেন-দেনা, আমি হ’লাম জন্ম কানা— | না পাই দেখিতে । ○。 চাতক স্বভাব না হ’লে অমৃত মেঘের বারি কথায় কি মেলে । 8. খাচার ভিতর অচিন পাখী কমনে আসে যায় । ধরতে পারলে মনো বেড়ি দিতেম পাখীর পায় । প্রসংগতঃ উল্লেখযোগ্য যে, রবীন্দ্রনাথ লালনের শেষোক্ত ‘অচিন পার্থীর গানটি শুনে এমনই মুগ্ধ হ’য়েছিলেন যে, তিনি এর ইংরেজী অনুবাদ ক’রে লওনের এক আন্তর্জাতিক সম্মিলনের ভাষণে উদ্ধৃত করেছিলেন এবং বলা বাহুল্য, এই গীতির অপূর্ব ভাবোন্মাদনার সংগে তিনি ইংরিজি সাহিত্যের বিখ্যাত কবি কীটস ও শেলীর সেই অমর পাখীদ্বয়ের কথা স্মরণযোগ্য বিবেচনা করেছিলেন । লালনের উত্তরসূরীদের মধ্যে শিষ্ঠ দুষ্ট. শাহ্ ও পাঞ্জ, শাহ্ সাহেবদ্বয়ের পরে সবচেয়ে খ্যাতিমান ছিলেন যশোর জিলার পাগলা কানাই ও ইদু বিশ্বাস। অবস্তি এর দু’জনেই জারী গানের বয়াতি হিসেবেই পরিচিত। তবে তাদের দেহতত্ত্বমূলক ধুয়ো গানে লালনশাহী ভাব-সঙ্গীতের বিশেষ স্ফ.তি ঘটেছিল, তাই তাদের নামও এই প্রসঙ্গে স্মরণীয়।