পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯৮
শকুন্তলা

হন্ত! আমি যখন নিতান্ত বিচেতন হইয়া প্রিয়াকে পরিত্যাগ করিয়াছি, তখন আর আমার অভীষ্টলাভের প্রত্যাশা নাই। তবে তুমি কি নিমিত্ত বৃথা স্পন্দিত হইতেছ?। মনে মনে এই আক্ষেপ করিতেছেন। এমত সময়ে, “বৎস! এত দুর্বৃত্ত হও কেন” এই শব্দ রাজার কর্ণকুহরে প্রবিষ্ট হইল। রাজা শ্রবণ করিয়া মনে মনে এই বিতর্ক করিতে লাগিলেন এ অবিনয়ের স্থান নহে; এই অরণ্যে যাবতীয় জীব জন্তু, স্থান মাহাত্মে হিংসা, দ্বেষ, মদ, মাৎসর্য প্রভৃতি পরিত্যাগ করিয়া, পরস্পর পরম সৌহার্দ্দে কাল যাপন করে; কেহ কাহারো প্রতি অত্যাচার বা অনুচিত ব্যবহার করে না। এমন স্থানে কে দুর্ব্বত্ততা করিতেছে। এ বিষয়ে অনুসন্ধান করিতে হইল।

 এই রূপ কৌতূহলাক্রান্ত হইয়া, শব্দানুসারে কিঞ্চিৎ অগ্রসর হইয়া দেখিলেন এক অতি অল্প বয়স্ক শিশু সিংহশিশুর কেশর আকর্ষণ করিয়া অত্যন্ত উৎপীড়ন করিতেছে এবং দুই তাপসী সমীপে দণ্ডায়মান আছেন। দেখিয়া চমৎকৃত হইয়া মনে মনে কহিতে লাগিলেন তপোবনের কি অনির্ব্বচনীয় মহিমা! মানবশিশু সিংহশিশুর উপর বল প্রকাশ করিতেছে। সিংহশিশুও অবিকৃত চিত্তে সেই বল প্রকাশ সহ্য করিতেছে। অন-