বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শকুন্তলা
১০১

মনে এত মেহোদয় হয় আমি পূর্ব্বে জানিতাম না। আহা! যাহার এই পুত্র, সে ইহাকে ক্রোড়ে লইয়া যখন ইহার মুখ চুম্বন করে, হাস্য করিলে যখন ইহার মুখ মধ্যে অর্দ্ধবিনির্গত দন্ত গুলি অবলোকন করে, যখন ইহার মৃদু মধুর আধ আধ কথা গুলি শ্রবণ করে তখন সেই পুণ্যবান্ ব্যক্তি কি অনির্ব্বচনীয় প্রীতি প্রাপ্ত হয়!। আমি অতি হতভাগ্য! সংসারে আসিয়া এই পরম সুখে বঞ্চিত রহিলাম। পুত্রকে ক্রোড়ে লইয়া, তাহার মুখ চুম্বন করিয়া, সর্ব্ব শরীর শীতল করিব; পুত্রের অর্দ্ধবিনির্গত দন্ত গুলি অবলোকন করিয়া, নয়নযুগলের সার্থকতা সম্পাদন করিব, অথবা অর্দ্ধোচ্চারিত মৃদু মধুর বচন পরস্পরা শ্রবণে শ্রবণেন্দ্রিয়ের চরিতার্থতা লাভ করিব; এ জন্মের মত আমার সে আশালতা নির্ম্মূল হইয়া গিয়াছে।

 ময়ূরের আনয়নে বিলম্ব দেখিয়া, কুপিত হইয়া বালক কহিল এখনও ময়ূর দিলে না; তবে আমি ইহাকে ছাড়িব না; এই বলিয়া সিংহশিশুকে অত্যন্ত বলপূর্ব্বক আকর্ষণ করিতে লাগিল। তাপসী চেষ্টা পাইলেন কিন্তু তাহার হস্ত হইতে সিংহশাবক ছাড়াইতে পারিলেন না। তখন বিরক্ত হইয়া কহিলেন এমন সময়ে এখানে কোন ঋষিকুমার নাই যে ছাড়াইয়া দেয়। এই বলিয়া, পার্শ্বে