পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শকুন্তলা

আশ্রমপদ শান্তরসাস্পদ; অথচ আমার দক্ষিণবাহু স্পন্দ হইতেছে; এস্থানে মাদৃশ জনের এতদনুযায়ি ফল লাভের সম্ভাবনা কোথায়। অথবা ভবিতব্যের দ্বার সর্ব্বত্রই হইতে পারে। মনে মনে এই আন্দোলন করিতেছেন, এমত সময়ে “প্রিয়সখি এ দিকে এ দিকে” এই শব্দ রাজার কর্ণকুহরে প্রবিষ্ট হইল। রাজা শ্রবণ করিয়া কহিতে লাগিলেন বৃক্ষবাটিকার দক্ষিণাংশে স্ত্রীলোকের সম্বোধন শুনা যাইতেছে। অতএব কি বৃত্তান্ত অনুসন্ধান করিতে হইল।

 “এই বলিয়া, কিঞ্চিৎ গমন করিয়া, রাজা দেখিতে পাইলেন তিনটি অল্পবয়স্কা তপস্বিকন্যা অনতিবৃহৎ সেচন কলস কক্ষে লইয়া আলবালে জলসেচন করিতে আসিতেছে। রাজা, তাহাদের রূপের মাধুরী দর্শনে চমৎকৃত হইয়া, কহিতে লাগিলেন ইহারা আশ্রমবাসিনী; ইহারা যেরূপ, এরূপ রূপবতী রমণী আমার অন্তঃপুরে নাই। বুঝিলাম, আজি উদ্যানলতা সৌন্দর্যগুণে বনলতার নিকট পরাজিত হইল। এই বলিয়া তরুচ্ছায়ায় দণ্ডায়মান হইয়া তাহাদিগকে অবলোকন করিতে লাগিলেন।

 শকুন্তলা, অনসূয়া ও প্রিয়ংবদা নামী দুই সহচরীর সহিত বৃক্ষবাটিকাতে উপস্থিত হইয়া, আলবালে জল-