পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৪
শকুন্তলা

শুনিয়া সাতিশয় আনন্দিত হইয়া কহিলেন তাহা হইলে আজি আমি যুবরাজ হইলাম।

 এইরূপে মাধবের রাজধানী প্রতিগমন নির্দ্ধারিত হইলে, রাজা মনে মনে ভাবিতে লাগিলেন এ অতি চপলস্বভাব, হয় ত শকুন্তলাবৃত্তান্ত অন্তঃপুরে প্রচার করিবেক। কি করি। অথবা এইরূপ কহিয়া বিদায় করি। এই বলিয়া মাধব্যের হস্তে ধরিয়া কহিলেন বয়স্য! ঋষিরা কয়েক দিনের নিমিত্ত তপোবনে থাকিতে আদেশ করিয়াছেন; তাহাদের আজ্ঞা অবহেলন করা কোন মতেই কর্ত্তব্য নহে এই নিমিত্ত রহিলাম; নতুবা যথার্থই আমি শকুস্তলা লাভে, অভিলাষী হইয়াছি এমত নয়। আমি ইতিপূর্ব্বে তোমার নিকট শকুন্তলাসংক্রান্ত যে সকল গল্প করিয়াছি সে সমস্তই পরিহাস মাত্র; তুমি যেন যথার্থ ভাবিয়া -একে আর করিও না। মাধব্য কহিলেন তাহার সন্দেহ কি; আমি, এক বারও তোমার ঐ সকল কথা যথার্থ ভাবি নাই। অনন্তর রাজা তপস্বীদিগের যজ্ঞবিঘ্ননিরাকরণার্থে তপোবনে প্রবেশ করিলেন এবং মাধব্যও যাবতীয় সৈন্য সামন্ত ও সমুদায় অনুযাত্রিকগণ সঙ্গে লইয়া রাজধানী প্রস্থান করিলেন।