পাতা:শকুন্তলা (ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর).djvu/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৮
শকুন্তলা

লতামণ্ডপে প্রবেশ করিলেন। রাজা দর্শন মাত্র হর্ষ সাগরে মগ্ন হইয়া কহিলেন এই যে, আমার প্রাণেশ্বরী আসিয়াছেন। বুঝিলাম, দেবতারা আমার পরিতাপ শুনিয়া সদয় হইলেন “তাহাতেই পুনর্ব্বার প্রিয়াকে দেখিতে পাইলাম। চাতক পিপাসায় শুষ্ককণ্ঠ হইয়া জল প্রার্থনা করিল, অমনি নব জলধর হইতে সুশীতল সলিলধারা নিপতিত হইল।

 শকুন্তলা রাজার সম্মুখবর্ত্তীনী হইয়া কহিলেন মহারাজ! অর্দ্ধ পথে স্মরণ হওয়াতে আমি এই মৃণালবলয় লইতে আসিয়াছি; আমার মৃণাবলয় দাও। রাজা কহিলেন যদি তুমি আমাকে যথাস্থানে নিবেশিত করিতে দাও, তোমার মৃণালবলয় তোমাকে ফিরিয়া দি, নতুবা দিব না। শকুন্তলা অগত্যা সম্মত হইলেন। রাজা কহিলেন এস এই শিলাতলে বসিয়া পরাইয়া দি। উভয়ে শিলাতলে উপবিষ্ট হইলেন। রাজা শকুন্তলার হস্ত লইয়া কিয়ৎক্ষণ স্পর্শসুখ অনুভব করিতে লাগিলেন। শকুন্তলাও স্পর্শসুখ অনুভব করিয়া জড়প্রায় হইয়া কহিলেন আর্য্যপুত্র! সত্বর হও সত্বর হও। রাজা আর্য্যপুত্রসম্ভাষণ শ্রবণে সাতিশয় হর্ষ প্রাপ্ত হইয়া মনে মনে কহিতে লাগিলেন স্ত্রীলোকেরা স্বামীকেই আর্য্যপুত্র