শেষের পরিচয় ঙে দেখচি লগেজ অনেকগুলি। একটি মুটকেস, একটি এটাচি কেস, একটি বিছান, একটি ফলের ঝুড়ি, একটি প্যাকিং বাক্স, মায় একটি জীবস্তু লগেজ পৰ্য্যন্ত । রাখাল সারদার পরিহাসের জবাব না দিয়া বলিল, তোমার তো বেডিং প্রস্তুত দেখচি। কাপড়-চোপড়ের বাক্স কই ? সারদা বলিল, ধান-তিনেক শাড়ি আর গোটা-দুই সেমিজ ঐ বিছানার সঙ্গেই বেঁধে নিয়েচি । রাখাল বিস্থিত হইয়া কহিল, ওতে কুলোবে কেন ? সারদা মৃদ্ধ হাসিয়া বলিল, যথেষ্ট । ময়লা হলে সাবান দিয়ে সাফ করে নেবো, ধা নিত্য এখানে করি । রাখাল একটুখানি গুম হইয়া রহিল । বারংবার মনে হইতে লাগিল বলে, কাপড়ের তোমার এত অভাব, এটা কি আমাকে জানালে তোমার অপমান হতো সারদা ? কিন্তু মুখ ফুটিয়া কিছুই বলিতে পারিল না। রাগের ঝোঁকে টাকা লইবার কথা মনে পড়ায় নিজেকে অপরাধী মনে হইতে লাগিল । রাধাল উদাসকণ্ঠে কহিল, তাহলে এবার ট্যাক্সি নিয়ে আসি । সারদা সচকিতে বলিয়া উঠিল, ওমা—বলতে একেবারেই ভুলে গেছি দেবতা— আপনি বাজার করতে বেরিয়ে যাবার একটু পরেই বিমলবাবু এসেছিলেন । তিনি বলে গেছেন একটা জরুরী কাজে যাচ্ছেন, এখনই ফিরে আসবেন। আপনার সঙ্গে র্তার দরকার আছে। তিনি র্তার মোটরে আমাদের স্টেশনে পৌছে দেবেন বলে গেলেন । রাধালের মুধ-ভাবের কোমলতা অন্তহিত হইল। শুদ্ধ-স্বরে কহিল, আজকে আর র্তার সঙ্গে দেধা করবার সময় নেই সারদ, ফিরে এসে দেখা হবে । জেরি করা চলে না, আমি ট্যাক্সি আনতে চললুম। রাধালের কথা শেষ হইবার পূৰ্ব্বেই সদর দরজার সম্মুখে মোটরের হর্ন শোনা গেল এবং উঠান হইতে বিমলবাবুর আওয়াজ পাওয়া গেল –সারা-মা সারদা বাহির হইয়া বলিল, আমুনবিমলবাবু ঘরে প্রবেশ করিয়া বলিলেন, খই ষে রাজু এলে গেছে । ভাগ্যে জাজ এদিকে একটা দরকারে এসেছিলাম। মনে হ’লো পাশেই যখন এলে পড়েছি, সারদী-মাকে একবার দেখে ধাই। এলে শুনলাম ব্ৰ জবাবুর আ মুখের তার পেৰে তোমরা আজই রওনা হচ্চো। চলে তোমাদের পৌছে দিয়ে আলি ; বড় গাড়িটাতেই আজ বেরিয়েচি, মালপত্র নেওয়ার অসুবিধা হবে না। অনিচ্ছাসত্বেও রাখাল আপত্তি করিতে পারিল না। জিনিসপত্র গাড়ীতে উঠানো হইলে বিমলবাবু রাখালের হাত ধরিয়া বলিলেন, রায়, আমার একটি অংরোধ রেখে, »ፃፃ
- ծաանօ