পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ষষ্ঠ সম্ভার).djvu/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ [ একদিক দিৱা হুকুমারী ও তাহার মা ক্ষাভ প্রবেশ করিয়া বাটার অন্তঃপুরে চলিয়া গেল। পরান হালদার কঠিন-চক্ষে তাহাদের নিরীক্ষণ করিলেন মুহূৰ্ত্তে ভূত্য ষষ্ঠীচরণ প্রবেশ করিল ] পরাণ । ওয়া বাড়ির মধ্যে গেল কারা ? ষষ্ঠী। ক্ষান্ত বামুন-ঠাকরুণ আর তার মেয়ে। পরাণ। যা ভেবেচি তাই। ওদের বাড়ি ঢুকতে দিল কে ? যষ্ঠী। আচাযিামশাই ডেকে এনেচেন । দু’দিন ধরে সমস্ত কাজ-কৰ্ম্ম করচেন। পরাণ। ওরা যদি খাদ্যদ্রব্য স্পর্শ করে থাকে ত কোন ব্রাহ্মণই এখানে জলগ্রহণ করতে পারবে না। [ ক্ষান্ত আড়ালে দাড়াইয়া বোধ হয় শুনিতেছিল, তৎক্ষণাৎ বাহির হইয়া আসিল ] ক্ষান্ত । কেন শুনি হালদার-ঠাকুরপো ? (রমেশের প্রতি) ই বাবা, তুমিও ত গায়ের একজন জমিদার, বলি সমস্ত দোষই কি এই ক্ষেস্তি বামনীর মেয়ের ? মাথার উপর আমাদের কেউ নেই বলে কি যতবার ইচ্ছে শাস্তি দেবে ? ( গোবিন্দকে দেখাইয়া) ঐ উনি মূখুয্যে-বাড়ির গাছ-পিতিষ্ঠের সময় জরিমানা বলে দশ টাকা আদায় করেন নি ? গায়ের ষোল-আন মনসা-পূজোর নামে দু’জোড়া পাঠার দাম ধরে নেননি। তবে কতবার ঐ এককথা নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে চান শুনি ? গোবিন্দ। যদি আমারই নামটাই করলে ক্ষান্তমসি,তবে সত্যি কথা বলি বাছা, খাতিরের কথা কইবার লোক গোবিন্দ গাঙ্গুলী নয়, সে দেশশুদ্ধ লোকে জানে । তোমার মেয়ের প্রায়শ্চিত্তও হয়েছে, সামাজিক দণ্ডও করেচি,—সব মানি । কিন্তু যজিতে কাঠি দিতে ত আমরা হুকুম দিই নি ? মরলে ওকে পোড়াতে আমরা বাধ দেব, কিন্তু— ক্ষান্ত। মরলে তোমার নিজের মেয়েকে কাধে করে পোড়াতে যেয়ো বাছা, আমার মেয়ের ভাবনা তোমাকে ভাবতে হবে না। বলি ই, গোবিন্দ, নিজের গায়ে হাত দিয়ে কি কথা কও না ? তোমার ছোট ভাজের কাশীবাসের কথা মনে পড়ে না ? হালদার-ঠাকুরপোর বেয়ানের তাতী অপবাদ ছিল না ? সে-সব বড়লোকের বড় কথা বুঝি ? গোবিন্দ। তবে রে হারামজাদা মাগী— ক্ষাস্ত। ( অগ্রসর হইয়া, মারবি নাকি রে? ক্ষেস্তি বামনীকে ঘাটালে ঠগ বাছতে গা উজোড় হয়ে যাবে। বলি এতেই হবে, না আরও বলবো ? { ভৈরব আচাৰ্য্য কৃতপদে প্রবেশ করিয়া ] ভৈরব। এsেং হবে মালী, আর কাজ নেই। (ভিতরের দিকে চাহিয়া) も**