পাতা:শান্তিনিকেতন (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তপোবন নিকটে জলাশয় থেকে কলহংস।শাবকের এসে নীবারবলি থেয়ে যাচ্চে,—হরিণীরা জিহবাপল্লব দিয়ে মুনিবালকদের লেহন করচে। এর ভিতরকার কথাটা হচ্চে ঐ — তরুলতা জীবজন্তুর সঙ্গে মানুষের বিচ্ছেদ দূর করে তপোবন প্রকাশ পাচ্চে, এই পুরান কথাই আমাদের দেশে বরাবর চলে এসেছে । কেবল তপোবনের চিত্রেই যে এই ভাবটি প্রকাশ পেয়েছে তা নয় । মানুষের সঙ্গে বিশ্বপ্রকৃতির সন্মিলনই আমাদের দেশের সমস্ত প্রসিদ্ধ কাব্যের মধ্যে পরিস্ফুট। যে সকল ঘটনা মানবচরিত্রকে আশ্রয় করে ব্যক্ত হতে থাকে.তাই না কি প্রধানত নাটকের উপাদান এই জন্তেই অন্তদেশের সাহিত্যে দেখতে পাই বিশ্ব প্রকৃতিকে নাটকে কেবল আভাসে রক্ষা করা হয় মাত্র তার মধ্যে তাকে বেশি জায়গা দেবার অবকাশ থাকে না । আমাদের দেশের প্রাচীন যে নাটকগুলি আজ পর্য্যস্ত থ্যাতি NᏬᎼ