পাতা:শান্তিনিকেতন (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তপোবন ধন। আবার যে ভরত বীৰ্য্যবলে চক্রবর্তী সম্রাট হয়ে ভারতবর্যকে নিজ নামে ধন্ত করেছেন তার জন্ম-ঘটনায় অবারিত প্রবৃত্তির যে কলঙ্ক পড়েছিল কবি তা’কে তপস্যার অগ্নিতে দগ্ধ এবং দুঃখের অশ্রজলে সম্পূর্ণ ধৌত না করে ছাড়েন নি । রঘুবংশ আরম্ভ হল রাজেচিত ঐশ্বৰ্য্য গৌরবের বর্ণনায় নয়। সুদক্ষিণাকে বামে নিয়ে রাজা দিলীপ তপোবনে প্রবেশ করলেন । চতুঃসমুদ্র যার অনন্তশাসনা পৃথিবীর পরিখ সেই রাজা অবিচলিত নিষ্ঠায় কঠোর সংযমে তপোবনধেমুর সেবায় নিযুক্ত হলেন। সংযমে তপস্যায় তপোবনে রঘুবংশের আরম্ভ আর মদিরায় ইন্দ্রিয়মত্ততায় প্রমোদভবনে তার উপসংহার। এই শেষ সর্গের চিত্রে বর্ণনার উজ্জ্বলতা যথেষ্ট আছে—কিন্তু । যে অগ্নি লোকালয়কে দগ্ধ করে সর্বনাশ করে সেও ত কম উজ্জল নয়। এক পত্নীকে নিয়ে 8թ