পাতা:শান্তিনিকেতন (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তপোবন সামঞ্জস্তকে একেবারে কানায় কানায় ভরে তোলে তখনি শাস্তুরসের উদ্ভব হয়। তপোবনে সেই শান্তরস। এখানে সুর্য্য অগ্নি বায়ু জল স্থল আকাশ তরুলতা মৃগ পক্ষী সকলের সঙ্গেই চেতনার একটি পরিপূর্ণ যোগ। এখানে চতুদিকের কিছুর সঙ্গেই মানুষের বিচ্ছেদ নেই এবং বিরোধ নেই। ভারতবর্ষের তপোবনে এই যে একটি শান্তরসের সঙ্গীত বাধা হয়েছিল এই সঙ্গীতের অাদর্শে ই আমাদের দেশে অনেক মিশ্র রাগরাগিণীর স্মৃষ্টি হয়েছে। সেই জন্তেই আমাদের কাব্যে মানবব্যাপারের মাঝখানে প্রকৃতিকে এত বড় স্থান দেওয়া হয়েছে ; এ কেবল সম্পূর্ণতার জন্তে আমাদের যে একটি স্বাভাবিক আকাঙ্ক্ষা আছে সেই আকাঙ্ক্ষাকে পুরণ করবার উদ্দেশে । অভিজ্ঞানশকুন্তল নাটকে যে দুটি তপোবন আছে সে দুটিই শকুন্তলার সুখদু:থকে to