পাতা:শান্তিনিকেতন (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তপোবন চিত্তের মিলন, সুতরাং আনন্দের মিলন। এই আনন্দের কথাই আমাদের কাব্যে কীৰ্ত্তিত । উত্তরচরিতে রাম ও সীতার যে প্রেম, সেই প্ৰেম আনন্দের প্রাচুর্য্যবেগে চারিদিকের জলস্থল আকাশের মধ্যে প্রবেশ করেছে। তাই রাম দ্বিতীয়বার গোদাবরীর গিরিতট দেখে বলে উঠেছিলেন “যত্র দ্রুম অপি মৃগা অপি বন্ধবো মে” তাই সীতাবিচ্ছেদকালে তিনি তাদের পূর্বনিবাসভূমি দেখে আক্ষেপ করেছিলেন যে, মৈথিলী তার করকমলবিকীর্ণ জল নৗবার ও তৃণ দিয়ে যে সকল গাছ পার্থী ও হরিণদের পালন করেছিলেন তাদের দেখে আমার হৃদয় পাষাণগলার মত গলে যাচে । মেঘদূতে যক্ষের বিয়হ নিজের দুঃখের টানে স্বতন্ত্র হয়ে একলা কোণে বসে বিলাপ করচে না। বিরহ-দুঃখই তার চিত্তকে নববর্ষায় প্রফুল্ল পৃথিবীর সমস্ত নগনদী-অরণ্যনগরীর মধ্যে পরিব্যাপ্ত করে দিয়েছে । মামুষের হৃদয় \లR