পাতা:শান্তিনিকেতন (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তপোবন যায় না । মানুষের মধ্যে এমন জাতি দেখিনে যে আমিষ আহার না করে। ভারতবর্ষ এই যে আমিষ পরিত্যাগ করেছে সে কৃচ্ছ ব্রত সাধনের জন্তে নয়, নিজের শরীরের পীড়া দিয়ে কোনো শাস্ত্রোপদিষ্ট পুণ্যলাভের জন্তে নয়—তার একমাত্র উদ্দেশ্য, জীবের প্রতি হিংসা ত্যাগ করা । এই হিংস ত্যাগ না করলে জীবের সঙ্গে জীবের যোগসামঞ্জস্য নষ্ট হয়। প্রাণীকে যদি আমরা খেয়ে ফেলবার, পেট ভরাবার জিনিষ বলে দেখি তবে কখনই তাকে সত্যরূপে দেখতে পারিনে—তবে প্রাণ জিনিষটাকে এতই তুচ্ছ করে দেখা অভ্যস্ত হয়ে যায় যে, কেবল আহারের জন্ত নয়, শুদ্ধমাত্র প্রাণীহত্যা করাই আমোদের অঙ্গ হয়ে ওঠে—এবং নিদারুণ অহৈতুকী হিংসাকে জলে স্থলে আকাশে গুহায় গহবরে দেশে বিদেশে মানুষ ব্যাপ্ত করে দিতে থাকে । ११