পাতা:শান্তিনিকেতন (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন সে জিনিষটা সত্যই বড় বলে নয় আমাদের লোভ আছে বলেই । এইজন্তে ব্রহ্মচর্য্যের সংযমের দ্বারা বোধশক্তিকে বাধামুক্ত করবার শিক্ষা দেওয়া অবিশু্যক—ভোগবিলাসের আকর্ষণ থেকে অ ভ্যাসকে মুক্তি দিতে হয়, যে সমস্ত সাময়িক উত্তেজন লোকের চিত্তকে ক্ষুব্ধ এবং বিচারবুদ্ধিকে সামঞ্জস্তভ্রষ্ট করে দেয় তার ধাক্কা থেকে বঁচিয়ে বুদ্ধিকে সরল করে বাড়তে দিতে হয় । যেখানে সাধনা চলচে, যেখানে জীবনযাত্রা সরল ও নিৰ্ম্মল, যেখানে সামাজিক সংস্কারের সঙ্কীর্ণতা নেই, যেখানে ব্যক্তিগত ও জাতিগত বিরোধবুদ্ধিকে দমন করবার চেষ্টা আছে, সেই থানেই ভারতবর্ষ যাকে বিশেষভাবে বিদ্যা বলেছে তাই লাভ করবার স্থান । আমি জানি অনেকেই বলে উঠবেন এ একটা ভাবুকতার উচ্ছাস, কাওজানবিহীনের দুরাশী মাত্র । কিন্তু সে অামি কোনোমতেই