পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्राष्ट्रिेिएक७म وناسbج. এখন সে অক্ষম ডানাটা নিয়ে বাসায় পড়ে পড়ে কল্পনাও করতে পারে না ষে আকাশে ওড়া সম্ভব। তার ষে শক্তিটুকু আছে সেইটুকুকে অনেক পরিমাণে বাড়িয়ে দেখলেও সে কেবল ডালে ডালে লাফাবার কথাই মনে করতে পারে। সে যখন তার কোনো প্রবীণ সহোদরের কাছে আকাশে উধাও হবার কথা শোনে তখন সে মনে করে, দাদা একটা অত্যুক্তি প্রয়োগ করছেন— যা বলছেন তার ঠিক মানে কখনোই এ নয় যে সত্যিই আকাশে ওড়া। ওই-যে লাফাতে গেলে মাটির সংস্রব ছেড়ে যেটুকু নিরাধার উর্ধ্বে উঠতে হয় সেই ওঠাটুকুকেই তারা আকাশে ওড়া বলে প্রকাশ করছেন— ওটা কবিত্বমাত্র, ওর মানে কখনোই এতটা হতে পারে না। বস্তুত এই সংসারনীড়ের মধ্যে আমরা যে অবস্থায় আছি তাতে বুদ্ধদেব যাকে ব্রহ্মবিহার বলেছেন, ভগবান যিশু যাকে সম্পূর্ণতালাভ বলেছেন, তাকে কোনোমতেই সম্পূর্ণ সত্য বলে মনে করতে পারি নে। কিন্তু, এ-সব আশ্চর্য কথা তাদেরই কথা যারা জেনেছেন, যারা পেয়েছেন। সেই আশ্বাসের আনন্দ যেন একান্ত ভক্তিভরে গ্রহণ করি। আমাদের আত্মা দ্বিজশাবক, সে আকাশে ওড়বার জন্যেই প্রস্তুত হচ্ছে, সেই বার্তা র্যারা দিয়েছেন তাদের প্রতি যেন শ্রদ্ধা রক্ষা করি ; তাদের বাণীকে আমরা যেন খর্ব করে তার প্রাণশক্তিকে নষ্ট করবার চেষ্টা না করি। প্রতিদিন ঈশ্বরের কাছে যখন তার প্রসাদম্বধা চাইব সেইসঙ্গে এই কথাও বলব, ‘আমার ডানাকেও তুমি সক্ষম করে তোলো। আমি কেবল আনন্দ চাই নে, শিক্ষা চাই ; ভাব চাই নে, কর্ম চাই।' ১৩ চৈত্র