\O\}o শান্তিনিকেতন আনন্দে এবং শাসন তখন মুক্তিতে পরিণত হয় ; সত্য তখন প্রিয়অপ্রিয়ের-দ্বন্দ্ব-বর্জিত সৌন্দর্যে উজ্জল হয়, মঙ্গল তখন ইচ্ছা-অনিচ্ছারদ্বিধা-বর্জিত প্রেমে এসে উপনীত হয়। তখনই আমাদের মুক্তি । সে মুক্তিতে কিছুই বাদ পড়ে না, সমস্ত সম্পূর্ণ হয় ; বন্ধনশূন্ত হয়ে যায় না, বন্ধনই অবন্ধন হয়ে ওঠে ; কর্ম চলে যায় না, কিন্তু কৰ্মই আসক্তিশূন্ত বিরামস্বরূপ ধারণ করে। ৩১ চৈত্র দশের ইচ্ছা আমার সমস্ত জীবন একদিন তাকে ‘পিতা নোহসি’ বলতে পারবে, আমি র্তারই পুত্র এই কথাটা একদিন সম্পূর্ণ হয়ে উঠবে, এই আকাঙ্ক্ষাটিকে উজ্জল করে ধরে রাখা বড়ো কঠিন । অথচ আমাদের মনে কত অত্যাকাজক্ষা আছে, কত অসাধ্যসাধনের সংকল্প আছে, কিছুতেই সেগুলি নিরস্ত হতে চায় না। বাইরে থেকে যদি বা খাদ্য জোগাতে নাও পারি তৰু বুকের রক্ত দিয়ে তাকে পোষণ করি। অথচ যে আকাজক্ষা সকলের চেয়ে বড়ো, যা সকলের চেয়ে চরমের দিকে যায়, তাকে প্রতিদিন জাগ্রত করে রাখা এত শক্ত কেন ? তার কারণ আছে । আমরা মনে করি আকাঙ্ক্ষা জিনিসটা আমার নিজেরই মনের সামগ্ৰী— আমিই ইচ্ছা করছি এবং সে ইচ্ছার আরম্ভ আমারই মধ্যে । বস্তুত তা নয়। আমার মধ্যে আমার চতুর্দিক ইচ্ছা করে। আমার জারক রস আমার জঠরেরই উৎপন্ন সামগ্রী বটে, কিন্তু আমার ইচ্ছ। কেবল আমারই মনের উৎপন্ন পদার্থ নয়। অনেকের ইচ্ছ। আমার মধ্যে