বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শিক্ষক (বরদাকান্ত মজুমদার).pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

w শিক্ষক । হইতে পারেন, তবে তাছার ন্যায় সুখী পৃথিবীতে আর কেহই নছে। যেমন প্রাতঃকালীন শিশিরসিক্ত শম্পশষ্য কোটি কোটি মণিমুক্ত শোভিত হারমালার স্কায় প্রতীয়মান হয়, বিদ্বানের মন তজপ শত সঙ্কজ নৰ ভাবে সদা সজ্জীভূত থাকে। “ দানেন নক্ষয়ং যাতি বিদ্যারত্বং মহাধনং ” বিদ্যা দানে ক্ষয় হয় না, দায়াদে বণ্টন করিয়া লইতে পারে না ; এবং চের্যের শঙ্কাধীন নছে। অতএব এতাদৃশ অক্ষয় ধন আর কি আছে ? বিদ্যা সত্যের দ্বার স্বরূপ । বিদ্যার বিমল জ্যোতিঃ হৃদয়ে না থাকিলে সত্যের উপলব্ধি হয় না। যেমন রঞ্জিত দর্পণ চক্ষের নিকট ধরিলে সকল পদার্থই তদ্রাগসংশ্লিষ্ট দেখা যায় ; কিছুরই প্রকৃত স্বভাব উপলব্ধি হয় না ; তদ্রুপ অশিক্ষিত লোকের নিকট কোন বস্তুই প্রকৃতালোকে দৃষ্ট হয় না। গ্রীস দেশীয় সুবিখ্যাত পণ্ডিত সক্রেটস্ নুতন মতের আবিষ্কারক বলিয়। রাজ-দ্বারে দণ্ডনীয় হইয়াছিলেন। রাজাজ্ঞাবশাৎ তাছাকে ছিন্নকৃ নামক এক প্রকার বিষ ভক্ষণ করিয়া প্রাণত্যাগ করিতে হইয়াছিল। তৎকালের মত ছিল যে ভৌতিক দেহের পতন হইলেই মন্বয্যের শেষ হইল ; সুতরাং দেহ অতি মূল্যৱান এবং মৃত্যু অদ্বিতীয় ভয়ানক ব্যাপার বলিয়া গণ্য হইত। কিন্তু আসাধারণ ধীশক্তির প্রভাবে সক্রেটীশ দৃঢ়রপে জানিয়াছিলেন যে মৃত্যু, দেহ পরিবর্তন মাত্র মৃত্ম্যন্তে পৃথিবী অপেক্ষ মুখ সম্ভোগের স্থান আছে। তজ্জন্তই বিষের বিশাল যাতনাতে র্তাহাকে অধীর করিতে পারিয়াছিল না । তিনি অতি শান্ত প্রৱতি হইয়া কাল কুঠারাঘাতে নত হইয়াছিলেন। মৃত্যুকালে র্তাহার চিত্ত এতাদৃশ অবিচলিত ছিল যে, তিনি শেষ নিশ্বাসের সহিত ক্রাইটৰূকে বলিয়া ছিলেন “ ক্রাইটন! আমরা কিউলে পিয়াসের নিকট একটি কুকুট খণী আছি। আমার নিমিত্ত এই ঋণ শোধ করিও ; অবহেলা করিও ন৷ ”। উপসংহারকালে বক্তব্য যে, বিদ্যা-জনিত আনন্দ সৰ্ব্বাপেক্ষ উৎকৃষ্ট ও উন্নত। কুতূহল চরিতার্থ করা, অজ্ঞাত বিষয়ের জ্ঞান প্রাপ্ত হওয়া, যদি আনন্দের কারণ হয়, তবে, বিদ্য ব্যতীত আর কিসে সেই ভূমানন্দ লাভ