&१ শিক্ষক। তাছারাই কর প্রদানে শিথিল । যদি প্রজার অভাব না থাকে, তবে অনায়াসেই কর সংগ্রহ হয়। দেশের মঙ্গলোদেশ্যে মা হউক, অন্ততঃ স্ব স্ব আর্থিক ছিতের জন্য ভূম্যধিকারীগণের প্রাগুক্ত পন্থাবলম্বন করা কৰ্ত্তব্য । এক্ষণ প্রজারা কেবল মাত্র কর প্রদান করে, বাণিজ্য এবং কৃষিকার্যের উন্নতি হইলে তদ্বারা নানাবিধ উপায়ে ধন সঞ্চিত श्रेएच । সাধারণ লোকের মানসিক উন্নতি ভেদে দেশের উন্নতি হুইয়। থাকে। ষে দেশের জন সাধারণ যেরূপ উন্নত সে দেশের নৈসর্গিক ৰূলও তদনুসারে দৃঢ়তর । সুতরাং অম্মদেশীয় সাধারণ জনগণের অমানুষ মুখত অপনয়ন করা অতীব প্রয়োজনীয় ; কিন্তু বৰ্ত্তমানযস্থায় তদ্বিষয়ে কৃতকাৰ্য্য হওয়া অসম্ভব বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। নিয়শ্রেণীস্থ লোকের সাধারণত: ঈদৃশ দুরবস্থা যে তাহাদিগের সামান্ত দৈনিক গ্রাসাচ্ছাদন হওয়া অতীৰ ভুরূহ। অর্থব্যয় করিয়া সন্তান দিগকে বিদ্যাশিক্ষণ দেওয়া তাহদের পক্ষে সম্ভবত নহে ; অন্তে সাহায্য করিলে ও তাহ তাহাদিগের পক্ষে সুবিধাজনক হয় না । তাহারা মনে করে, বালকগণ যাবৎ লেখা পড়া করিবে তাবৎ গোরক্ষণ অথবা ছলকর্ষণোপৰোগী কোন কাৰ্য্য করিলে সমধিক উপকার প্রাপ্ত হইতে পারে। ধনাভাবে এদেশের ঈদৃশ শোচনীয় অবস্থা ঘটিয়াছে ! বস্তুতঃ দারিদ্র্য দোষ বলবান থাকিলে, কোন কার্য্যেই উৎসাহ থাকেন। ঘাবৎ এই বিষপ্রদ দরিদ্রতা অপনীত না হইবে তাবৎ কৃষকের প্রকৃত উন্নতি হইবার কোন সম্ভব নাই। কিন্তু এতদ্বারা আমি দেশহিতৈষী ব্যক্তিদিগকে নিৰুৎসাহিত করিতেছিনা। আশানুরূপ ফল প্রাপ্তি না হইলেও জন সাধারণের বিদ্যাশিক্ষার প্রতি যত্ব রাখা কৰ্ত্তব্য ; কারণ কথিত আছে, ধুলি অপেক্ষ ক্ষার অধিকতর উৎপাদনশালী। উৎপন্ন-দ্রব্যজাত অস্বাভাবিক রূপে দেশ বহির্গত হইয়া তৎপ্রযুক্ত মুদ্রার মূল্য অসম্ভব হ্রাস হওয়া, কৃষিকার্যের বর্তমান হীনাবস্থ, বাণিজ্যাভাব এবং অশিক্ষণ প্রভৃতি কৃষকের দরিদ্রতার যেমন কারণ, তেমনি তদপেক্ষা গুঢ়তর একটা আভ্যন্তরিক কারণ আছে। এই
