বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শিক্ষক (বরদাকান্ত মজুমদার).pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায় । , ই8 অথবা পঞ্চাইত দ্বার। তাহ ভঞ্জন করিয়া দিতেন, সুতরাং জমিদারের উপর প্রজার অনেক নির্ভর ও বিশ্বাস ছিল । তৃতীয়তঃ, মুসলমান শাসনকৰ্ত্তারা যতই দৌরাত্ম্য কৰুন না কেন, তাহাদিগের অত্যাচার । অস্থরিক বলিয়। অভিহিত হইতে পারে । আস্থরিক অত্যাচারে মনুষ্য যত দুৰ্ব্বল ও নিস্তেজ না হয়, কৌশল দ্বারা ততোধিক হয়। লক্ষ লক্ষ হিন্দুকে সবলে মুসলমান করিলে দেশের যত অমঙ্গল না হয়, একটা কুটিল আইন দ্বারা তাছা হয় ; মুসলমানগণ ঈদৃশ বিষময় আইন প্রকটনে নিতান্ত অপটু ছিল। সেই রক্ষা, নতুবা ছয় শত বৎসরে আমরা বিলীন হুইয়। যাইতাম । চতুর্থতঃ, তখন দেশের ধন দেশেই থাকিত—ভারতের ঐশ্বৰ্য্য ভারতবাসিদিগের জঠরানল জুড়াইত । তৎপরে ইংরাজ রাজ্যের অধীন হওয়াবধি প্রজা ও ভূম্যধিকারীর প্রাকৃতিক সম্বন্ধ নানা কারণে ক্রমে ক্রমে লোপ হইয়। এক্ষণ উভয়ের মধ্যে ভয়ানক কলছ উপস্থিত হইয়াছে। কিসে কর বৃদ্ধি করা যাইতে পারে, কিসে বাকী রাজস্বের জন্য প্রজাদিগকে উৎসন্ন দেওয়া যাইতে পারে এই রূপ বিধি সকল রাজপুৰুষের ভূম্যধিকারীকে শিক্ষা দিয়াছেন ; কিসে কর হ্রাস হইতে পারে, কিসে ভূম্যধিকারিদিগকে বঞ্চন । করা যাইতে পারে তাহ প্রজাকে শিক্ষা দিয়াছেন ; সুতরাং ভাবী ফলের প্রতি দৃষ্টি না করিয়া সুবিধা পাইলেই উভয় শ্রেণীর মধ্যে তুমুল সংগ্রাম উপস্থিত হয়। তাছাতে লাভের মধ্যে উভয়েরই নিজীব হওয়া । ভূম্যধিকারীগণ যtছাই বিবেচনা কৰুন, প্রকৃত পক্ষে তাহারণ গবর্ণমেণ্টের নিকট করের ঠিকাদার মাত্র। গবর্ণমেণ্ট স্বীয় ইষ্ট সাধন জন্য বাধ্য হইয়। বঙ্গদেশে করের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করেন। অনেকে বলেন তাছাতে জমিদার ও প্রজার মঙ্গলই গবর্ণমেণ্টের অভিপ্রেত ছিল, কিন্তু সে বিষয়ে আমার বিলক্ষণ সন্দেহ আছে। গবর্ণমেণ্ট স্থায়ী বন্দোবস্ত করিয়া নানাবিধ বিধি দ্বারা নিয়মিত রাজস্ব আদায়ের উৎকৃষ্ট ও অব্যর্থ উপায় নিৰ্দ্ধারিত করিলেন। প্রজা পালন ও দেশের