বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শিক্ষক (বরদাকান্ত মজুমদার).pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায় । శిర్ళి এসকল ধৰ্ম্ম যাজকের কথা ; ঈদৃশ স্বক্ষধৰ্ম্মী হইলে সংসারে উন্নত । হওয়া যায় না। প্রিয়দর্শন ! ধৰ্ম্ম ব্যতীত উন্নতি কোথায় ? যদি কিছু হয়, সে কেবল বাহ ও ক্ষণস্থায়ী, তৎসম্বন্ধে আমি পূৰ্ব্বে তোমাকে বলিয়াছি । - দেখ, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পর ৮০ বৎসরের অধিক অতিবাহিত হইয়াছে। এই দীর্ঘকালের মধ্যে তোমাদিগের পূর্বাধিকারিগণ অনেক কর বৃদ্ধি করিয়াছেন। গবর্ণমেণ্ট অতিরিক্ত রাজস্ব ধাৰ্য্য করায় তোমাদিগের যে অনিষ্ট হইয়াছিল, তাছার পূরণ হুইয়াছে ; এইক্ষণ জমিদারীতে তোমাদিগের বিলক্ষণ লভ্য হইয়াছে। তবে কেবল মাত্র অস্থিরিক ধনলোভে কিজন্য প্রজাকে উৎসন্ন দিবার চেষ্টা করিবে ? যদি তোমার ইংরাজি সভ্যতার দৰুণ অতিরিক্ত খরচের আবশ্যক হইয়া থাকে, যদি তোমার বাগান বাড়ি, ঘোড়া গাড়ির ব্যয় বৰ্ত্তমান আর দ্বারা সংকুলান না হয় ; আয় বৃদ্ধির অন্য উপায় দেখ। দরিদ্র প্রজার গ্রাস,চ্ছাদন কাড়িয়া লইও না । বাণিজ্য ব্যবসায়ে মন দেও ; তুমি নিতান্ত অলস ও নিশ্চেষ্ট হুইয়। “পরের মাথার কাটাল ভাঙ্গিবে? এটা কি তোমার মনুষোচিত কৰ্ম্ম ? প্রজার সহিত ভূম্যধিকারীর যে বিষম কলহ উপস্থিত হইয়াছে তাহাতে উভয় পক্ষের অনিষ্ট । প্রথমতঃ, ভূম্যধিকারীর অর্থনাশ । দ্বিতীয়তঃ জমিদারী নাশের বিলক্ষণ সম্ভব। দেশ প্রজাপূর্ণ, জমিদারের সংখ্যা অতি কম । যদি তোমরা বারম্বার প্রজ,র উপর অন্যায় অত্যাচার কর, প্রজাগণ অবশ্যই তোমার বিপক্ষে গবর্ণমেণ্টে জানাইবে, এক্ষণে আর প্রজারা তত অজ্ঞ নয়, তাছার আইনের খবর জানে, লাট সাহেবকেও চেনে। গবর্ণমেণ্ট জন সাধারণের সুখে জলাঞ্জলি দিয়া কখন তোমাদিগের পক্ষ অবলম্বন করিবেন না। তখন “ ভোজন হস্তে ” জমিদারীটা ত্যাগ করিয়া “ তাতিকুল বৈষ্ণব কুল ” হারাইতে হইবে । নব্য ভূম্যধিকারি । সাবধান হও ; ধনলোভে উন্মাদ হইয়। ভবিষ্যৎ হরাইও না। জমিদারী যাবর্ণমেণ্টের খাস হইলে প্রজার ও মুখ হইবে না। জমিদারের খাজনা আদায় করিতে শৈথিল আছে ;