পাতা:শিক্ষক (বরদাকান্ত মজুমদার).pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায়। QS কিন্তু কেবল অধিক বেতন দিলেই যে প্রতারণার হস্ত হইতে মুক্তি লাভ হইল এরূপ বিবেচ্য নহে ; প্রহরী বিহীন মুম্বুপ্তিসমাকীর্ণ গৃহে কে না দস্তুত করে ? সতকতাই কাৰ্য্যের মূল । তুমি যদি স্বয়ং সকল বিষয় বুঝিয় না লও, যদি নিকৃষ্টের জানে যে রাজকাৰ্য্যে তুমি সম্যক অমনোযোগী, তবে অবশ্বাই তাহার কুপথ অবলম্বন করিবে । শাস্তি এবং অবমাননার আশঙ্কা না থাকিলে মনুষ্য স্বভাবতঃ বিপথগামী হয়, সুতরাং শাসনই সমতার প্রধান উপায়। অতঃপর সমস্ত কার্য্যে পুঙ্খানুপুঙ্খ দৃষ্টি রাথিয়। ঈদৃশ শাসন প্রয়োগ করা বিহিত যে, কঠোর দণ্ডের নিশ্চিত আশঙ্ক ভিন্ন কেহ গৰ্হিত কৰ্ম্ম করিতে প্রলুব্ধ ন হইতে পারে । অধীনকে স্বশাসনে রাখিতে হইবে বলিয় যে তাহার প্রতি পৰুষব্যবহার করা আবশু্যক এরূপ বিবেচনা করিতে হুইবে না । অামার বলার অভিপ্রায় এই যে গুৰুতর দোষ পাইলে তাহাদিগকে উপযুক্ত দণ্ড করিতে হইবে ; কিন্তু অন্যান্য সময়ে সস্নেহ ব্যবহার করা প্রয়োজনীয়। স্থানান্তরে কথিত হইয়াছে, প্রিয় বাক্য এবং সদ্ব্যবহার ভিন্ন কাহাকেও বাধ্য করা যায় না ; অতঃপর, সময় ও আবশ্বকানুসারে মিষ্ট ও তিক্ত উভয় বিধ ব্যবহার বিহিত। অনেক সমৃদ্ধিশালব্যক্তি ভৃত্য বিশেষের প্রতি অধিকতর অনুরাগ প্রকাশ করিয়া থাকেন ; কিন্তু তাহা নিতান্ত গৰ্ছনীয়। তাহাদিগের দ্বারা বিবিধ অনিষ্ট ঘটিতে পারে। তুমি ভৃত্য বিশেষকে অতিশয় স্নেহ কর, ইহা অপরে জানিতে পারিলে, তাছাকে অনায়াসে বশীভূত করিয়া, তদ্বারা তোমার অনেক অনিষ্ট করিতে পারে। কাৰ্য্যক্ষেত্রে অনুরাগ অথবা বিরাগদ্বারা চালিত না করিয়া, ন্যায় চক্ষুদ্বারা সকলকে এবং সৰ্ব্বকাৰ্য সমভাবে দৃষ্টি করিতে হইবে। যিনি এই বাক্যটি চিত্তে জাগৰুক রাখিয়া সংসারের সহিত ব্যবহার করেন তাহাকে কিছুতেই প্রবঞ্চিত বা ক্ষতিগ্রস্ত হইতে হয় না ।