পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R छैकाख পাইয়া গেলাম । সভয়ে প্রশ্ন করিলাম, চুরুট খাওয়া কেউ যদি দেখে ফ্যালে ? ফেললেই বা । সবাই জানে। বলিয়া স্বচ্ছদে টানিতে টানিতে রাস্তার মোড় ফিবিয়া, আমার মনের উপর একটা প্ৰগাঢ় ছাপ মারিয়া দিয়া আর একদিকে চলিয়া গেল । আজ আমাব সেই দিনের অনেক কথাই মনে পন্ডিতেছে। শুধু এইটি স্মরণ কবিতে পাবিতেছি না। -ঐ অদ্ভুত ছেলেটিকে সেদিন ভালবাসিয়াছিলাম, কিম্বা, তাহার প্রকাশ্যে সিদ্ধি ও ধূমপান কাবাব জন্য তাহাকে মনে মনে ঘূণা করিযাছিলাম । 事 事 掌 事 তারপবে মাস-খানেক গত হইয়াছে । সেদিনের বাত্রিটা যেমন গরম তেমনি অন্ধকার । কোথাও গাছেব একটা পাতা পৰ্যন্ত নডে না । ছাদের উপর সবাই শুইয়া ছিলাম। বারোটা বাজে, তথাপি কাহারে চক্ষে নিদ্ৰা নাই ! হঠাৎ কি মধুর বংশীস্বর কানে আসিয়া লাগিল । সহজ। রামপ্রসাদী সুর। কত তা শুনিয়াছি, কিন্তু বাঁশিতে যে এমন মুগ্ধ করিয়া দিতে পারে, তাহা জানিতাম না। বাড়ীর পূর্ব-দক্ষিণ কোণে একটা প্ৰকাণ্ড আমকঁঠালের বাগান । ভাগের বাগান, অতএব কেহ খোজ-খবর লইত না । সমস্ত নিবিড় জঙ্গলে পরিণত হইয়া গিয়াছিল । এ ধু। গরু-বাছুরের যাতায়াতে সেই বনেৰ মধ্য দিয়া সরু একটা পথ পড়িয়াছিল। মনে হইল, যেন সেই বনপথেই বঁাশীর সুর ক্রমশঃ নিকটবতী হইয়া আসিতেছে। পিসিমা উঠিয়া বসিয়া তাহার বড় ছেলেকে উদ্দেশ করিয়া কহিলেন, হ্যা রে নবীন, বঁাশী বাজায় কে, রায়েদের ইন্দ্ৰ নাকি ? বুঝিলাম ইহারা সকলেই ওই বংশীধারীকে চেনেন। বড়দা বলিলেন, সে হতভাগা ছাড়া এমন বঁাশিই বা বাজাবে কে, আর ঐ বনের মধ্যেই বা ঢুকবে কে ! বলিস কি রে ; ও কি গোঁসাইবাগানের ভেতর দিয়ে আসছে নাকি ? दफुमा बनिrब्णन, छ । পিসিমা এই ভয়ঙ্কর অন্ধকারে ওই অদূরবতীর্ণ গভীর জঙ্গলটা স্মরণ করিয়া মনে মনে বোধ করি শিহরিয়া উঠিলেন। ভীতকণ্ঠে প্রশ্ন করিলেন,