পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ave দুঃখে ফেলিয়াছে। তাহারা আসিয়া ঋণ চাহিত, বলিত, দেশে বড়লোক BB DBBDS DD DDLDBBDD DBBDS BB BBD DBDS YYLLLL L বুকোব পােটা সপ্ৰমাণ করিতে তিনি ঋণ করিয়া ঋণ দিতেন। প্ৰথমে হাণ্ডনেট কাটিয়া এবং পরে স্ত্রীকে গোপন করিয়া সম্পত্তি বন্ধক দিয়া । ইহার ফল অধিকাংশ স্থলেই যাহা হয় এখানেও তাহাই হইয়াছে। এ কুকাৰ্য্য যে চক্ৰবৰ্ত্তীর অসাধ্য নয় তাহা একটা রাত্রির অভিজ্ঞতা হইতে সম্পূর্ণ বিশ্বাস করিলাম। বুদ্ধির দোষে বিষয়সম্পত্তি অনেকেরই যায় এবং তার পরিণামও অত্যন্ত দুঃখের হয়, কিন্তু এই দুঃখ যে সমাজের অনাবশ্যক, অন্ধ নিষ্ঠুরতায় কতখানি বাড়িতে পারে তাহা চক্ৰবৰ্ত্তী-গৃহিণীর প্রতি-কথায় অস্থিমজ্জায় অনুভব করিলাম। র্তাহাদের দুইটি মাত্র শোবার ঘর। একটিতে ছেলেমেয়েরা থাকে এবং অন্যটি সম্পূর্ণ অপরিচিত ও বাহিরের লোক হইয়াও আমি অধিকার করিয়া আছি । ইহাতে আমাব সঙ্কোচের অবধি ছিল না । বলিলাম, আজ ত আমার জব ছেড়েছে এবং আপনাদেও ভারি কষ্ট হচ্ছে যদি বাহিরের ঘরে একটা বিছানা ক’রে দেন ত আমি ভারি তৃপ্তি পাই । গৃহিণী ঘাড় নাড়িয়া কহিলেন, সে কি হয় বাছা, আকাশে মেঘ ক’রে আছে, বৃষ্টি যদি হয় তা ও-ঘরে এমন ঠাই নেই যে মাথাটুকু রাখা যায়। তুমি রোগ-মানুষ, এ ভরসা তা কর৩ে পারি। নে বাবা । তঁহাদেব প্ৰাঙ্গণের একাধারে কিছু খড় সঞ্চিত ছিল তাহা লক্ষ্য করিয়াছিলাম, তাহাই ইঙ্গিত করিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, সময়ে মেরামত ক’রে নেন নি কেন ? জল-ঝড়ের তা দিন এসে পড়েছে। ইহার প্রত্যুত্তরে জানিলাম যে তাহা সহজে হইবার নয়। পতিতব্ৰাহ্মণ বলিয়া এ-অঞ্চলের চাষীরা তঁহাদের কাজ করে না । গ্রামান্তরে মুসলমান ঘরামী আছে তাহারাই ঘর ছাইয়া দেয়। যে-কোন কারণে হোক। এ-বৎসর তাহারা আসিতে পারে নাই। এই প্রসঙ্গে তিনি সহসা কাদিয়া ফেলিয়া কহিলেন, বাবা, আমাদের দুঃখের কি সীমা আছে ? সে-বছর আমার সাত-আট বছরের মেয়েটা হঠাৎ কলেরার মারা গেল ; পুজার সময় আমার ভাইয়েরা গিয়েছিল কাল্পী বেড়ান্তে,