বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\br8 স্ত্রীকৃষ্ণসংহিতা । বদ্ধজীবের অবস্থাটী শোচনীয়, কেননা জীব স্বয়ং বিশুদ্ধ চিত্তত্ত্ব হইয়াও জড়ের সেবক হইয়া পড়িয়াছেন। আপনাকে জড়বৎ জ্ঞান করিয়া জড়ের অভাব সকল দ্বারা প্রপীড়িত হইতেছেন। কখন আহার অভাবে ক্ৰন্দন করেন, কখন জ্বররোগে আক্রান্ত হইয়া হাহুতাশ করিতে থাকেন, কখন বা কামিনীগণের কটাক্ষ আশা করিয়া কত কত নীচ কার্য্যে প্রবৃত্ত হন। কখন বলেন আমি মরিলাম, কখন বলেন আমি ঔষধি সেবন করিয়া বাচিলাম, কখন বা সন্তান বিনাশ হইয়াছে বলিয়া দুরন্ত চিন্তাসাগরে নিপতিত হন । কখন অট্টালিকা নিৰ্ম্মাণ করত তাহাতে বসিয়া মনে করেন আমি রাজরাজেশ্বর হইয়াছি, কখন কতকগুলি নরসভার হিংসা করিয়া মনে করেন, আমি এক মহাবীর হইয়াছি, কখন বা তারযন্ত্রে সমাচার পাঠাইয়া আশ্চৰ্য্যাম্বিত হইতেছেন। কখন বা এক খানি চিকিৎসাপুস্তক লিখিয়া আপনার উপাধি বৃদ্ধি করেন, কখন বা রেল-গাড়ি রচনা করিয়া আপনাকে এক প্রকাণ্ড পণ্ডিত বলিয়া স্থির করেন, কখন বা নক্ষত্রদিগের গতি নিরূপণ করতঃ জ্যোতির্বেত্তা বলিয়া আপনাকে প্রতিষ্ঠা করেন। দ্বেষ, হিংসা, কাম, ক্রোধ প্রভৃতি প্রবৃত্তির চালনা করিয়া চিত্তকে কলুষিত করিতে থাকেন। কখন কখন কিছু অন্ন, ঔষধি বা পদার্থবিদ্যা শিক্ষাদান করত অনেক পুণ্যসঞ্চয় করিলাম বলিয়া বিশ্বাস করেন। আহা ! এই সমস্ত কাৰ্য্য কি শুদ্ধচিত্তত্ত্বের উপযুক্ত? যিনি বৈকুণ্ঠে অবস্থান করত বিশুদ্ধ প্রেমানন্দ আস্বাদন করিবেন,