বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 о а স্ত্রীকৃষ্ণসংহিতা প্রীতিরূপ ব্যাপ্তি যে পরিমাণে বৃদ্ধি হয়, জ্ঞানরূপ ব্যাপ্তি সেই পরিমাণে খৰ্ব্ব হয়। জ্ঞানব্যাপ্তি অত্যন্ততা অবলম্বন করিলে, মূল বেদন-ধৰ্ম্মট এক অখণ্ড তত্ত্ব হইয় উঠে। কিন্তু উহ নীরসতার পরাকাষ্ঠা লাভ করত সম্পূর্ণ আনন্দবর্জিত হয় | প্রীতি-ব্যাপ্তি অত্যন্ততা অবলম্বন করিলেও জ্ঞান-ব্যাপ্তির অঙ্কুররূপ বেদন-ধৰ্ম্ম লোপ হয় না, বরং সম্বন্ধাভিধেয় প্রয়োজনানুভূতিরূপ চৈতন্য প্রাপ্ত হইয়া প্রীত্যাত্মক আস্বাদন রসকে বিস্তার করে । অতএব প্রীতিব্যাপ্তিই জীবের একমাত্র প্রয়োজন । অভিধেয় বিচারে ভক্তিকে প্রধান সাধন বলিয়া উক্তি করা হইয়াছে। মহর্ষি শাণ্ডিল্যকৃত ভক্তিমীমাংসা গ্রন্থে এইরূপ সূত্রিত হইয়াছে – ভক্তিঃ পরামুরক্তিরীশ্বরে । ঈশ্বরে অতি উৎকৃষ্ট আনুরক্তিকে ভক্তি বলা যায়। বদ্ধজীবাত্মার, পরমাত্মার প্রতি অনুরক্তিরূপ যে চেষ্টা, তাহাই ভক্তির স্বরূপ । সেই চেষ্টা কিয়ৎ পরিমাণে কৰ্ম্মরূপা ও কিয়ৎ পরিমাণে জ্ঞানরূপ। ভূতময় শরীরগত চেষ্টা কৰ্ম্মরূপ। লিঙ্গশরীরগত চেষ্টা জ্ঞানরূপা । ভক্তি, আত্মগত প্রীতিরূপ ধৰ্ম্মকে সাধন করে, এজন্য ইহাকে প্রীতি বলা যায় না | প্রীতির উৎপত্তি হইলে ভক্তির পরিপাক হইল বলিয়া বুঝিতে হইবে। মূলতত্ত্ব ব্যতীত বিশেষ বিশেষ অবস্থা বিস্তাররূপে বর্ণন করা এই উপসংহারে সম্ভব নয়। অতএব মূলতত্ত্ব অবগত হইয়া, শাণ্ডিল্যসূত্র ও ভক্তি