দশম স্কন্ধ । ১৬ তা । 26 సె হইয়া নিশ্চেষ্ট হইতে দেখিয়া সাতিশয় কাতর হইল ; এবং দুঃখ, অনুতাপ ও ভয়ে জ্ঞান নষ্ট হওয়াতে, পতিত হইল । গভী, বৃষ, বৎস ও বৎসভরী সকল নিরতিশয় দুঃখিত হইয়া শোকস্থচক শব্দ করিতে লাগিল ; এবং কৃষ্ণের দিকে দৃষ্টি প্রয়োগ করত ভীত হইয়া ( এই ভাবে ) দাড়াইয়া রহিল, যে দেখিয়া বোধ হইল, যেন ক্ৰন্দন করিতেছে । এ দিকে ব্রজরে মধ্যে পৃথিবী, আকাশ ও আত্মাতে আসন্নভয়-সুচক অতি-দাৰুণ ত্ৰিবিধ মহোৎপাত ঘটিতে লাগিল । সেই সকল দশন করিয়া, এবং কৃষ্ণ রামকে না লইয়া গোচরণ করিতে গমন করিয়াছেন জানিতে পারিয়া, নন্দ প্রভৃতি গোপ সকল ভয়ে কঁাপিতে লাগিলেন । গোপগণ কৃষ্ণের স্বরূপ অবগত ছিল না ; আর, কৃষ্ণই তাহাদিগের প্রাণ ও মন ছিলেন ; অতএব আবালবৃদ্ধবনিতা সকলেই দুন্নিমিত্ত দর্শন করত, কৃষ্ণের নিধন হইয়াছে ভাবিয়া, দুঃখ, শোক ও ভয়ে কাতর হইয়া, কৃষ্ণদৰ্শনবাসনায় দীনভাবে গোকুল হইতে নিৰ্গত হইল । মধুকুলজাত ভগবানূ বলদেব ভাহাদিগকে ভাদৃশ কাতর হইতে দর্শন করিয়া হাস্য করিলেন ; কিছুই বলিলেন না ; কারণ, তিনি অনুজের প্রভাব অবগত ছিলেন । গোপগোপী সকল প্রিয় কৃষ্ণের অন্বেষণ করিতে করিতে, যে সকল পদচিহ্ল ভগবানকে জানাইয়া দিতেছিল, সেই সকল পদচিহ্ন দ্বারা সুচিত পথ ধরিয়া যমুনাতীরে গমন করিল । রাজনৃ! যেরূপ যোগী সকল বেদমাগে বিশেষ বিশেষ উপাধি পরিত্যাগ করিয়া পরম তত্বের অন্বেষণ করেন, সেইরূপ গোপগোপী সকল, গেগণ যে পথে গমন করিয়াছে, সেই পথে
