পাতা:শ্রীমদ্ভাগবত - ত্রয়োবিংশ খণ্ড (দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়).pdf/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম স্কন্ধ । ২২ অ । >85 কৃষ্ণই আমাদিগের পতি হউন, ( এই উদ্দেশে ) ককে চিত্ত্ব অৰ্পণ করত কুমারী সকল এই প্রকারে এক মাস ব্রত আচরণ করিয়া ভদ্রকালীর পূজা করিয়াছিল। প্রতিদিন eマで গাত্রেণখান করত পরস্পর পরস্পরের বাহু ধরিয়া কালিন্দীতে স্নান করিতে যাইবার সময় আপন আপন নামের সহিত কৃষ্ণের গুণ গান করিয়া গমন করিত । এক দিন নদীতে আগমন করত অণর অণর দিনের ন্যান তীরে অপেন অপেন বস্ত্র রাখিয়া কৃষ্ণের গুণ গান করিতে করিতে অনন্দে জলে ক্রীড়া করিতে আরম্ভ করিল। যোগেশ্বরের ঈশ্বর ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ তাহাদিগের উদ্দেশ্য অবগত হইয়া, তাহাদিগের কৰ্ম্মের ফল দান করিবার নিমিত্ত, বয়স্যগণে পরিবৃত হইয়া সেই স্থানে আগমন করিলেন ; এবং তা হাদিগের বস্ত্র সকল অপহরণ করত কদম্ব বৃক্ষে আরোহণ করিয়া হাস্যকারী বালকদিগের সহিত হাসিতে হালিতে পরিহাস করিয়া কহিলেন, হে অবলা সকল ! তোমরা এই স্থানে আগমন করিয়া সচ্ছন্দে অণপন অপেন বসন গ্রহণ কর ; আমি সত্য বলিতেছি ; পরিহাস করিতেছি না ; কারণ ভোমরা ব্রভাবচরণে অত্যন্ত ক্লশ হইয়াছ । (আমি যে মিথ্যা কহি না, তাহ ) এই সকল বালক জ্ঞাত আছে | হে সুমধ্যম সকল ! একে একে হউক , অণর সকলে একত্রিত হইয়াই হউক আসিয়া বস্ত্র গ্রহণ কর । তাহার এই পরিহাস দেখিয়া গোপিকা সকল প্রেমে বিহ্বল ও লজ্জিত হইয়া পরস্পর পরস্পরের প্রতি দৃষ্টি *রত হাসিতে লাগিল ; জল হইতে তীরে অগসিল না ।