দশম স্কন্ধ । ১ অ : ෆ ক্ষরিত হইতেছে, আমি তাহা পান করিতেছি ; তাহাতেই, যদিও আমি জলাহারমাত্রও পরিত্যাগ করিয়াছি, তথাপি এই অতি দুঃসহ ক্ষুধা আমাকে পীড়ন করিতে সমর্থ হইতেছে না । স্থত কহিলেন, হে ভৃগুনন্দন ! এই সাধু কথা শ্রবণ করিয়া ভাগবত-প্রধান ভগবান ব্যাসনন্দন বিষ্ণুভক্ত পরীক্ষিতের প্রশংসা করিয়া কলি-কলুষ-নাশক কৃষ্ণচরিত কহিতে আরম্ভ করিলেন । শুক কহিলেন, হে রাজর্ষিসত্তম ! তোমার বুদ্ধি উপযুক্ত বিষয়েই প্রবৃত্ত হইয়াছে ; কারণ, বাসুদেবু-কথায় তোমার একান্ত রতি হইয়াছে । বামুদেব-কথা-বিষয়ক প্রশ্ন তদীয় পাদোদকের ন্যায় তিন ব্যক্তিকে পবিত্র করে ;–বক্তা, প্রশ্নকৰ্ত্তা ও শ্ৰেণত । পৃথিবী দপিত রাজরূপধারা দৈত্যগণের অযুতশত-সেনারূপ গুৰুভারে আক্রান্ত হইয়া ব্রহ্মার শরণ লইলেন । হে বিভো ! তিনি গোবেশ ধারণ করিয়া অশ্রব্যাপ্ত বদনে ক্লিষ্টভাবে কৰুণস্বরে ক্ৰন্দন করিতে করিতে, ব্রহ্মার নিকটু উপস্থিত হইয়া, তাহাকে স্বীয় দুঃখ নিবেদন করিলেন। ব্রহ্মাতাহা শ্রবণ করিয়া ত্রিনয়ন-প্রভৃতি সমুদায় দেবতাকে সঙ্গে লইয়া ধরিত্রীসমভিব্যাহারে ক্ষীরসাগরের উপকুলে গমন করিলেন । সেটু স্থানে উপস্থিত হইয়া সমাধি অবলম্বন করত, যে বেদমন্ত্রে নারায়ণের স্তব করিতে হয়, সেই মন্ত্রে জগন্নাথ, দেবদে, ধৰ্ম্মপালক নারায়ণের স্তব করিতে লাগিলেন । সমাধি ರತ করিতে বিধাত গগনোচারিত বাক্য শ্রবণ করিয়া
