দশম স্কন্ধ । ৩৪ অ । ゞ・6。 বায়ু বহিতেছিল । রামকৃষ্ণ সেই নিশারম্ভের সম্মান করি লেন । দুই জনে এক কালে যাবতীয় স্বরের মুচ্ছ না” রচনা করিয়া, যেরূপে সমুদায় জীবের মন ও কর্ণের সস্তোষ জন্মে, সেইরূপে গণন করিলেন । রাজন ! সেই গীত শ্রবণ করিয়া গোপীদিগের দেহ হইতে দুকুল, এবং কেশ হইতে মালা খসিয়া পড়িল, তাহারা তাহ জানিতে পারিল না । (রাম ও কেশব) প্রমত্তের ন্যায় হইয়া এইরূপে স্বেচ্ছামুসারে ক্রীড়া করিতেছেন, ইতিমধ্যে শঙ্খচূড় নামে বিখ্যাত কুবেরের অনুচর (তথায়) আগমন করিল । (বলদেব ও শ্রীকৃষ্ণ) চাহিয়া ছিলেন ; ( যক্ষঃ) অ শঙ্কিত হইয়া, তাহারা যাহাদিগের নাথ, সেই সকল অবলাকে হঠাৎ তাড়াইয়া উত্তর দিকে লইয়া চলিল । হে কৃষ্ণ ! হে রাম , এই বলিয়া আপন মহিলাদিগকে ক্ৰন্দন করিতে দেখিয়া, দুই ভ্রাতা দমু্য-গ্ৰস্ত গাভীর ন্যায়, তাহাদিগের পশ্চাৎ ধাবিত হইলেন । অধম যক্ষঃ অতিশীঘ্ৰ গমন করিতেছিল ; তাহারা “ভয় করিও না” এই শব্দ করিয়া শালবৃক্ষ হস্তে লইয়া বেগে তাহর পশ্চাৎ ধাবিত হইলেন । সেই মূঢ় কাল ও মৃত্যুর ন্যায় তাহাদিগের দুই জনকে আগমন করিতে দেখিয়া উদ্বিগ্ন হইয়া স্ত্রীদিগকে #fরত্যাগ করত জীবিভেচ্ছায় দোঁড়িতে আরম্ভ করিল। কিন্তু সে যে যে স্থানে দৌড়িয়া যাইল, গোবিন্দ তাহার শিরোর হরণ করিবার নিমিত্ত পশ্চাৎ পশ্চাৎ সেই সেই স্থানেই যাইতে লাগিলেন । বলদেব স্ত্রীগণের রক্ষক হইয়া ছিলেন । (রাজনৃ! ) বিভু অতিদূরে গমন করিয়া মুষ্টি
- স্বর বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইয়। ৰাগ হইয়া উঠিলে, তাহাকে মূছ না কহে।
