বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শ্রীমদ্ভাগবত - ত্রয়োবিংশ খণ্ড (দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়).pdf/৩১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম স্কন্ধ । ৫ • অ । \うo > আমার অবতার হইয়াছে । সময়ক্রমে আমাকে জন্ম গ্রহণ করিতে হয় ; ধর্মের রক্ষা, এবং অধৰ্ম্মের উচ্ছেদ, করিবার নিমিও আমি কখনও অন্য দেহও গ্রহণ করিয়া থাকি ৷ গোবিন্দ এইরূপ চিন্তা করিতেছেন, এই সময়ে সারথি ও পরিচ্ছদের সহিত স্থৰ্য্যকিরণের ন্যায় কিরণশালী দুইখানি রথ ও দিব্য পুরাণ অস্ত্রশস্ত্র সকল তৎক্ষণমাত্র আকাশ হইতে যদৃচ্ছাক্রমে উপস্থিত হইল । অনন্তর হৃষীকেশ সেই সকল দর্শন করিয়া সঙ্কর্ষণকে কহিলেন, আর্য্য ! দেখুন, আপনি যাহাদিগের নাথ, সেই সকল যদুবংশীয়ের বিপদৃ উপস্থিত হইয়াছে ; ভ্রাতঃ ! এই আপনার রথ ও প্রিয় অস্ত্ৰ শস্ত্র সকল উপস্থিত হইয়াছে । রথে আরোহণ করিয়া ইহ সংহার, এবং বিপদৃ হইতে স্বজনদিগকে উদ্ধার, কৰুন ! হে ঈশ্বর । সাধুদিগের মঙ্গল করিবার নিমিত্তই আমাদিগের জন্ম । ত্রয়োবিংশতি অক্ষৌহিণী নামক ভূমির ভার হরণ করুন । এই বলিয়া, দুই যদুনন্দন কবচ পরিধান, ও উত্তম অস্ত্রশস্ত্র গ্রহণ, করত রথে আরোহণ করিয়া অপমাত্র সৈন্য লইয়া নগরী হইতে বহির্গত হইলেন । দাৰুক-সারথি শ্ৰীহরি নির্গত হইয়া শঙ্খ বাদন করিলেন । সেই শঙ্খশব্দ হইতে শক্রসেনার হৃদয়ে ভয় জন্য কম্প উপস্থিত হইল । মগধরাজ তাছাদিগের দুই জনকে দর্শন করিয়া কহিলেন, ৱে পুৰুষাধম কৃষ্ণ ! তুই বালক , ভোর সহিত যুদ্ধ করিতে ইচ্ছা করি না ; লজা হয় । রে বন্ধুনাশন ! তুই গুপ্ত ।” ১ অর্থাৎ, সকলের অন্তর্যামি ৰশিয়া দর্শনের অধোগ্য।