দশম স্কন্ধ । ৫১ জ t VE - సె জপে চক্ষু-উন্মীলন-পূর্বক চতুর্দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করত পার্শ্বে সেই যবনকেই অবস্থিতি করিতে দেখিলেন । হে ভরতনন্দন! যবন সেই ক্রুদ্ধ পুৰুষের দৃষ্টিপাতে দেহজাত অগ্নি দ্বারা দগ্ধ হইয়া তৎক্ষণমাত্রে ভস্মসাৎ হইল । স্ত্রপরীক্ষিৎ কহিলেন, ব্রহ্মন ! সেই যে পুৰুষ যবনকে বধ করিলেন, তাহার নাম কি ? তিনি কোনৃ বংশীয় ? কাহার পুত্র ? তাহার প্রভাব কিরূপ ছিল ? কেনই বা গুহায় গিয়া শয়ন করিয়া ছিলেন ? বেদব্যাসতনয় কহিলেন, তিনি ইকুতুবংশে জন্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন । তাহার নাম মুচুকুন্দ । তিনি মান্ধাভার পুত্ৰ ; অতি মহাশয় ও ব্রাহ্মণের নিয়তহিতসাধক ছিলেন । যুদ্ধে র্তাহার প্রতিজ্ঞা ব্যর্থ হইত না । ইন্দ্রাদি দেবগণ অসুরদিগের ভয়ে ভীত হইয়া আপনাদিগের রক্ষার নিমিত্ত যাচূঞা করাতে, তিনি অনেক দিন তাহাদিগের রক্ষা করেন । অনন্তর দেবগণ কাৰ্ত্তিককে স্বগের রক্ষক পাইয়া মুচুকুন্দকে কহেন, রাজন্ ! আপনি আমাদিগের পালনরূপ কষ্ট সহ্য করিতে বিরত হউম্ ! হে বীর । নরলোক এবং হতকণ্টক রাজ্য পরিত্যাগ করিয়া অামাদিগের রক্ষণকার্য্যে প্রবৃত্ত হইয়া আপনি যাবতীয় ভোগ বিসর্জন দিয়াছেন । আপনার পুত্র, মহিষী, জাতি, অমাত্য, মন্ত্রী এবং আপনার তুল্যকালীন প্রজা সকল কাল কর্তৃক চালিত হইয়া এখন আর বর্তমান নাই । কাল বলবানদিগের শ্রেষ্ঠ, ভগবান, ঈশ্বর ও অব্যয় ; ক্রীড়া করত, পশুরাজ যেমন পশুদিগকে, তিনি তেমনি প্রজাদিগকে গলন করিতেছেন। আপনার মঙ্গল হউক । মুক্তি ব্যতীত
