দশম স্কন্ধ । ৫৩ অ । ওই ৫ প্রদণ করত কলহের অণশঙ্কা করিয়া ভ্রাতৃস্নেহে অভিষিক্ত হইয়া মহতী সেনা সমভিব্যাহরে গজ, অশ্ব ও পদাতিক লইয়া কুণ্ডিনে যাত্রা করিলেন । সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দরী ভীষ্মক-দুহিত হরির আগমনে তাকাঙ্ক্ষা করিয়াছিলেন ; তিনি যখন দেখিলেন যে, ব্রাহ্মণ প্রত্যাগমন করিলেন না, তখন চিন্তা করিতে লাগিলেন ;–আছে রাত্রি অতীত হইলে মন্দভাগিনী আমার বিবাহ ; (কিন্তু) পদ্মনয়ন আগমন করিলেন না ; ইহার কারণ কিছুই স্থির করিতে পরিতেছি না । যে ত্রণ ক্ষণ অামার সংবাদ লইয়। গিয়ণছিলেন, ভিনিও আসিলেন না । অনিন্দিতাত্মা (ত্রিীকৃষ্ণ ) কি জামাতে কিছু নিন্দার যোগ্য দর্শন করিয়াছেন ? সেই জন্য কি আমার পাণিগ্রহণবিষয়ে উদৃযোগী হইয়া আগমন করিতেছেন না ? অামার ভাগ্য মন ; বিধাতা এবং মহেশ্বর তামার প্রতি অনুকুল নহেন ? গিরিতনয়, সতী, ৰুদ্ৰাণী দেবী গৌরীও অামার প্রতি বিমুখ ? গোবিন্দ কর্তৃক হৃতচিন্তা কালজ্ঞা বালা এইরূপ চিন্তা করিতে করিতে অশ্রুকলাকুল লেচনদ্বয় নির্মীলন করিলেন । রাজমৃ বধু এইরূপে গোবিন্দের আগমন প্রতীক্ষা করিতেছেন, এই সময় (র্তাহার ) প্রিয়স্থ চক বাম উৰু, বাম বাহু ও বাম নেত্ৰ স্পদন হইল । পরেই শ্ৰীকৃষ্ণাদিষ্ট সেই ব্ৰাহ্মণশ্রেষ্ঠ আন্তঃপুরচারিণী দেবী রাজনন্দিনীর সহিত সাক্ষাৎ করিলেন । সতী, লক্ষণুজ্ঞা, শুচিস্মিতা সেই রাজপুত্ৰী উপহার বদন উৎফুল্প এবং দেহের গতি অব্যগ্র দেখিয়া তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন। (ব্রাহ্মণ) তাহাকে যদুনন্দনের উপস্থিতি
